ভালো নেই বাঙালির প্রিয় ফেলুদা। আজ দীর্ঘ একমাস ধরে জীবনযুদ্ধের কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত মাসের ৫ তারিখই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল সৌমিত্রবাবুর।পরের দিন মিন্টো পার্ক লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দেখতে দেখতে একমাস অতিক্রান্ত। দু-সপ্তাহে করোনা মুক্ত হলেও অনান্য সমস্যাগুলি মাথাচাড়া দিয়েছে ব্যপকভাবে। ইতিমধ্যেই চারবার ডায়ালিসিস হয়ে গিয়েছে তবুও কিডনির সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না। চিকিত্সকা জানিয়েছেন, অভিনেতার পরিস্থিতিতি সংকটজনক তবে স্থিতিশীল। সৌমিত্রবাবুর রক্তে হিমোগ্লোবিন ও অনুচক্রিকার মাত্রা কম রয়েছে।
বুধবারও স্বাভাবিকের চেয়ে বর্ষীয়ান অভিনেতার মূত্র নিঃসরণ কম হয়েছে। অভিনেতার রেচনতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ না করায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চিন্তার ভাঁজ চিকিত্সকদের কপালে। অভিনেতার বয়স এবং স্নায়ুজনিত সমস্যার কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ ডায়ালিসিস পর্বও চালাতে পারছেন না চিকিত্সরা, ছোট ছোটে অর্ধে তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। তবে কিডনির সমস্যার কোনও গঠনমূলক সমাধান খুঁজতে মরিয়া বিশেষজ্ঞরা। এই মর্মে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বলছে মেডিক্যাল বোর্ড।
মঙ্গলবার রাতে সৌমিত্রবাবুর রক্তের চতুর্থবার ডায়ালিসিস হয়েছে। ডায়ালিসিসের ফলে রক্তে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রায় ভারসাম্য এসেছে। তার ফরে অভিনেতার স্নায়ুর সমস্যার উপশমও খানিকটা হয়েছে। করোনামুক্ত হলেও কোভিড এনসেফেলোপ্যাথিতে আক্রান্ত প্রবীণ অভিনেতার জিসিএস স্কেল এখনও ১০-এর কোঠায়, যা চিন্তার কারণ। ৮৫ বছর বয়স এবং কো-মর্বিডিটি থাকায় সৌমিত্রর শারীরিক পরিস্থিতি মাঝেমধ্যেই অবনতি ঘটছে। গত ২৬ অক্টোবর থেকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে।