সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে খুব বেশি আশার বাণী শোনাচ্ছেন না চিকিত্সকরা। চিন্তার ভাঁজ বর্ষীয়ান অভিনেতার ভক্তদের মাথায়। প্রায় এক মাস ধরে মিন্টো পার্ক লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সৌমিত্রবাবু। রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়। বেলেভিউ হাসপাতালের তরফে গতকাল সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তক্ষরণের ফলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে। তবে অনুচক্রিকার মাত্রা বেড়েছে অভিনেতার শরীরে। কোথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা জানতে রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়েছে। এর পর রক্তে বিভিন্ন রাসায়নিকের ভারসাম্য ফেরাতে তাঁর ফের ডায়ালিসিস করেন চিকিৎসকরা। এদিন তাঁকে ৫ বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছে।
আজ তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ফের বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। জানা গিয়েছে অভিনেতাকে পরীক্ষা করে দেখার পর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অরিন্দম কর রবিবার জানান, ‘স্নায়ুর সমস্যাই তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে হয়। উনি একাধিক উপসর্গ নিয়েও লড়ছেন। কিন্তু খুব বেশি আশা করা যাবে না।’
মূলত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবচেতন ভাব কিছুতেই কাটছে না।বর্ষীয়ান শিল্পীর শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার ঠিক রাখাই এখন চিকিত্সকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কার্ডিও থোরাসিক ভাস্কুলার সার্জনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে, জানা গিয়েছে ডাকা হয়েছে রেডিওলজি বিশেষজ্ঞদেরও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল।
উল্লেখ্য গত ৫ অক্টোবর সৌমিত্রবাবুর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে, এরপর দিনই বেলেভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দু-দিন পরই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আচমকা বিগড়ে যায়, এরপর আইটিইউতে রাখা হয় তাঁকে। গত সোমবার থেকে সম্পূর্ন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী অভিনেতা।