কোনও চিকিত্সাতেই সাড়া দিচ্ছেন না সৌমিত্র, ভরসা একমাত্র 'মিরাকেল'

‘শেষ চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে কখনও কখনও মিরাকলও কাজ করে না, হয়ত মিরাকলও কম পড়বে ওঁনাকে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে',জানিয়েছেন চিকিত্সক অরিন্দম কর।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)

গভীর কোমায় বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মাল্টি অর্গান ফেলিউর। কোনও চিকিত্সাতেই সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি অব্যাহত। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশনে রয়েছেন অভিনেতা, পরিবারকে ইতিমধ্যেই এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

সমস্ত অঙ্গকে সচল রাখতে যা কিছু করা প্রয়োজন সবই করা হয়েছে, তবে তাতেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঠেকানো যাচ্ছে না। ৮৫ বছর বয়সী সৌমিত্রবাবুর স্নায়ু সক্রিয়তা তলানিতে, কোনও ওষুধেই কাজ হচ্ছে না।  ‘শেষ চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে কখনও কখনও মিরাকলও কাজ করে না, হয়ত মিরাকলও কম পড়বে ওঁনাকে এই অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে',  হতাশার সুরে জানিয়েছেন সৌমিত্রর চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অরিন্দম কর। রবিবার ভোরেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কন্যা পৌলমী। গত ৬ অক্টোবর থেকে মিন্টো পার্ক লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সৌমিত্র বাবু। 

চিকিত্‍সকরা স্বীকার করে নিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই অবস্থা থেকে ফিরে আসা কার্যত অসম্ভব। অরিন্দম কর জানান, 'প্রবীণ অভিনেতার স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলেছে কোভিড এনসেফেলোপ্যাথি। তার জেরে ‘সব চেষ্টা'-কে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। গত ৪০ দিন ধরে নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, কার্ডিয়োলজি, ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন, আইডি বিশেষজ্ঞ-সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘স্টেরয়েড, ইমিউনোগ্লোবুলিন (অ্যান্টিবডি), কার্ডিয়োলজি, অ্যান্টি-ভাইরাল থেরাপি, অনাক্রম্যতা - সবরকমের চেষ্টা করেছি আমরা।’ 

দীপাবলির আমেজে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চিকিত্সকদের এই বয়ানে কার্যত মন ভেঙেছে অভিনেতার অগুনতি অনুরাগীর। তবুও প্রার্থনা জারি রয়েছে।