এখনও সঙ্কটমুক্ত নন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বর্ষীয়ান শিল্পীর শারীরিক পরিস্থিত নিয়ে কোনও আশার বাণী শোনাচ্ছেন না চিকিত্সকরা, এখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী অভিনেতা। সৌমিত্রর চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল টিমের দায়িত্বে থাকা ডঃ অরিন্দম কর মঙ্গলবার গভীর রাতে জানান, ‘ওঁনার পরিস্থিতি এখনও বিপদমুক্ত নয়। তবে আমরা অন্তত প্যারামিটার গুলো স্টেবল করতে সফল হয়েছে। ওঁনার শারীরিক পরিস্থিতিতে কোনওরকম হেরফের হয়নি- উন্নতি বা অবনিত কোনওটাই নয়’।
গত ৫ অক্টোবর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরের দিন মিন্টো পার্কের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সোমবার দুপুরে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে দেওয়া হয়েছে। কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যায় মস্তিষ্ক আগেই স্বাভাবিকভাবে কাজ করা বন্ধ করেছে, এবার দুটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা গিয়েছে। যার জেরে মঙ্গলবার থেকে তাঁর রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি শুরু হয়েছে। দুটি কিডনি কাজ বন্ধ করলে এই থেরাপি দেওয়া হয়। হেমোডায়ালিসিস, হেমোফিল্টারেশন এবং হেমোডায়াফিল্টারেশনের মাধ্যমে এই থেরাপি চলে।
মঙ্গলবার দুপুরে জানানো হয়েছিল অভিনেতার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তরক্ষণ বন্ধ হয়েছে এবং প্রস্রাবের পরিমাণ ‘সন্তোষজনক’ স্তরে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর অনুচক্রিকার পরিমাণও আপাতত স্থিতিশীল।
চিকিত্সক অরিন্দম কর জানান, ‘আপতত তাঁর রেনাল ফাংশন যাতে সঠিকভাবে কাজ করে এবং অপর কোনও অঙ্গ যেন বিকল না হয়ে যায় সেটার অপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে এনসেফ্যালোপ্যাথির সমস্যা গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের ভাবাচ্ছে, যার জন্য উনি সচেতন থাকতে পারছেন না’।
করোনামুক্ত হওয়ার পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চিকিত্সা সাড়া দিচ্ছিলেন তবে অষ্টমীর দিন থেকে নতুন করে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আপতত বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতিকে চিকিত্সাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে হিমোডায়নামিকালি স্টেবল।