লক্ষ্মীপুজোর দিন দিদির মঞ্চে হাজির মোদক পরিবারের মেয়ে-বউরা। প্রথমবার দিদির মুখোমুখি মিঠাইরানি। স্বভাবতই দিদি নম্বর ১-এর ‘সানডে ধামাকা’ নিয়ে দারুণ উত্তেজিত সৌমিতৃষার ভক্তরা। এর মাঝেই রচনা সরাসরি মিঠাইকে প্রশ্ন করল, ‘আদৃতকে কী বলতে চাও’? উলটো দিক থেকে জবাব এল ‘ইটস ১০০% লাভ লাভ লাভ’। না, ঘাবড়ে যাবেন না! আসলে হেডফোন রাউন্ডের শুরুতে ঘটবে এই ঘটনা।
এদিন দিদি নম্বর ১-এ প্রতিযোগী হিসাবে হাজির মিঠাই, শ্রীনন্দা, শ্রীতমা আর শ্রীনিপা। বউ আর বোনেদের উৎসাহ দিতে মঞ্চে হাজির ‘উচ্ছেবাবু’ আদৃত। সেখানে হেডফোন রাউন্ডে ‘শব্দ’ উচ্চারণ করে শোনালো আদৃত। হেডফোন রাউন্ডে পর্দার বরের ঠোঁট পড়তে বেশি সময় লাগাননি মিঠাইরানি। নকুলদানা, জিলিপি, নাড়ু, শাকালু,খই- পাঁচটি শব্দই সঠিকভাবে বুঝে যায় সে। সুবাদে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে আসে সৌমিতৃষার।
মিঠাই-এর পরই পালা ছিল শ্রীনন্দা মানে কৌশাম্বী চক্রবর্তীর। আদৃত-কৌশাম্বীর অফস্ক্রিন রসায়ন নিয়ে চর্চা কারুর অজানা নয়। টেলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন পর্দার ‘দিদিয়া’ কৌশাম্বীর সঙ্গে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন আদৃত। কানে হেডফোন নেওয়ার পর আদৃতের কথা কতটা মন দিয়ে বুঝল কৌশাম্বী? শুরুতেই হোঁচট খায় কৌশাম্বী। ‘টাকা’ শব্দটি বুঝতে পারেননি তিনি। তবে বাকি চারটে শব্দ সঠিকভাবে বুঝে ৮ পয়েন্ট পেয়ে যায় সে। এই ভিডিয়ো দেখে মিঠাই ভক্তরা বলছেন, উচ্ছেবাবুর কথা মিঠাই সবচেয়ে ভালো বোঝে, তাই তো হিট ওদের কেমিস্ট্রি!
দাদার কথা বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি শ্রীতমা এবং শ্রীনিপার। দিদিয়ার মতোই চারটে করে শব্দ সঠিক উচ্চারণ করে ৮ পয়েন্ট করে পেয়েছে দুজনে। এই রাউন্ডে মিঠাই বাজিমাত করলেও দিদি নম্বর ১-এর ট্রফি কিন্তু উঠবে সবার প্রিয় শ্রীতমা অর্থাৎ অভিনেত্রী দিয়া মুখোপাধ্যায়ের হাতে।