ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। তৃতীয়া থেকেই প্রতিমা দর্শনের জন্য শহর কলকাতায় উপচে পড়ছে ভিড়। অন্যদিকে ছুটির ঘন্টা পড়বার আগে টেলিপাড়ায় জোরকদমে কর্মব্যস্ততা। ব্যাঙ্কিং এপিসোডের জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি কাজ করতে হচ্ছে কলাকুশলীদের। ব্যস্ততা যতই থাকুক তৃতীয়া বলে কথা, এদিন একটু সাজুগুজু করে পোজ না দিলে চলে!
একদিকে যখন মিঠাই-এর নতুন প্রোমোর অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো বসে রয়েছে ভক্তরা, তখন মিঠাইরানি সামনে এলেন ঝাঁ চকচকে লুকে। এদিন লাল-সাদা বেগমপুরি তাঁতে ধরা দিলেন সৌমিতৃষা। ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘তৃতীয়ার শুভেচ্ছা’।
সৌমিতৃষার এই লুক দেখে তো ফিদা ফ্যানেরা। জি বাংলার পর্দায় জনাইয়ের মেয়ে হিসাবে দেখা মেলে সৌমিতৃষা, আর জনাইয়ের ঠিক পাশেই রয়েছে বাংলার অন্যতম বিখ্যাত তাঁত শিল্পের স্থান বেগমপুর। সেই শাড়িতেই নিজেকে সাজালেন মিঠাইরানি। হাতে বোনা এবং সুতির তৈরি এই শাড়ি বাংলার ঐতিহ্য। স্থানীয়ভাবে বোনা হয়। বেগমপুরি শাড়ির পাড়ের নকশা সরু এবং রঙিন সুতো দিয়ে তৈরি হয় সেগুলো।
সৌমিতৃষার এই সাজের হাইলাইট ছিল তাঁর সুরু ফিতের ছোট্ট ব্লাউজ। সামনে আঁচল করে শাড়িটি পরেছেন নায়িকা,তাঁর পাতলা কোমর উঁকি দিচ্ছে শাড়ির ফাঁক দিয়ে- এক কথায় মোহময়ী রূপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মিঠাই।
এই শাড়ির সঙ্গে কেমন সেজেছেন সৌমিতৃষা? সাইড পার্ট করে বাঁধা চুল। কানে সুবিশাল সিলভার ঝুমকো। বাঁ হাত জুড়ে ম্যাচিং চুড়ি, কিন্তু ডান হাত খালি। স্মোকি আইস কিন্তু ন্যুড লিপস- এটাই ছিল সৌমিতৃষার মেকআপের বিশেষত্ব।
তৃতীয়ার দিন কী করছেন মিঠাই?
কাজে কাজেই কাটছে তাঁর গোটা দিন। সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্যুটিং। এরপর এক ব্র্যান্ডের শ্যুট রাত ১০টা থেকে। যা চলবে ভোররাত পর্যন্ত। আবার আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই মিঠাইয়ের সেটে হাজিরা দিতে হবে। পুজোয় প্রচন্ড কর্মব্যস্ত অভিনেত্রী। দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁর।