টেলিভিশন থেকে তাঁর বড় পর্দায় উত্তরণ সফল। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। দেবের ‘প্রধান’ নায়িকা হিসাবে একরাশ প্রশংসা এবং পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে। এর মাঝেই সোমবার সামনে এসেছে তাঁর আসন্ন ছবি ১২ই জুনের ফার্স্ট লুক পোস্টার। এই ছবিতে সৌরভ দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মিঠাইরানি। আরও পড়ুন-বাবা-মা'র রোম্যান্স হাঁ করে গিলছে ইউভান, মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই এ কী করলেন শুভশ্রী?
বাংলা টেলিভিশনে সৌমিতৃষার কেরিয়ার বেশ লম্বা। তবে দর্শক মিঠাইকে যে ভালোবাসা দিয়েছে তা প্রশ্নাতীত। কিন্তু এই সিরিয়ালের সুবাদে যেমন খ্যাতি এসেছে, তেমনই রয়েছে খ্যাতির বিড়াম্বনাও। মিঠাই-সিদ্ধার্থের অনস্ক্রিন রসায়ন এই সিরিয়ালের সাফল্যের অন্যতম কারণ, অথচ বাস্তব জীবনে মোটেই জমজমাট নয় সৌমিতৃষা-আদৃত কেমিস্ট্রি। সম্প্রতি আদৃতের বিয়েতে নায়িকার অনুপস্থিতি সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিয়েছ। সৌমিতৃষা নিজে জানিয়েছেন, বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন না তিনি। কিন্তু কেন?
উত্তর খুঁজতে গিয়ে বারবার উড়ে এসেছে আদৃত-সৌমিতৃষার প্রেম নিয়ে জল্পনা। এই নিয়েই বিরক্ত এবং খানিক অভিমানী সৌমিতৃষা। আদৃত-কৌশাম্বির বিয়ের মাঝখানে তাঁর নাম নিয়ে যেভাবে টানাটানি বা কাটাছেঁড়া চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাতে বিরক্ত তিনি। খানিক বিরক্তির সুরই টিভি নাইন বাংলাকে তিনি বলেন, ‘আদৃতের বিয়ের দিন বৃষ্টি হয়েছে, আর আমি বাড়িতেই ছিলাম, তাই বারান্দায় বেশ মজা করে ভিজেছি। এর কিছুক্ষণ পরই দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকজন এসে লিখে গিয়েছে, বৃষ্টিতে ভিজে আমি চোখের জল লুকোচ্ছি, কারণ সেদিন আদৃতের বিয়ে। আমি পড়ে অবাক। বিশ্বাস করুন, আমি প্রেম করতে আসিনি, প্রেমটা ছিল না, কোনও সম্পর্কই ছিল না।’
খানিক বিরক্তির সুরেই বলেন, ‘ও বিয়ে করছে, আমি ফোনের পর ফোন পাচ্ছি…।….ধারাবাহিকও শেষ, আমরা যে যার জীবনে এগিয়ে গিয়েছি, ভাল আছি, ও ভাল আছে, এগুলো কি মানুষ দেখতে পায় না?’ পর্দায় জুটির রসায়ন হিট হলে দর্শক তাঁরা সম্পর্কে আছেন বলে ধরে নেবেন, এটাও স্বাভাবিক বলেই মনে করেন সৌমিতৃষা। তবে সিরিয়াল শেষ হওয়ার এক বছর পরেও আদৃতকে জড়িয়ে তাঁর নামে মিথ্যা রটনায় মন ভেঙেছে সৌমিতৃষার। আদৃতের খারাপ লাগা নিয়েও সচেতন তিনি। বলেছেন, ‘যেটা নেই, যেটা ছিলই না কখনও, সেটা কি জোর করে, ১০০০ বার বলেও সত্যি করা যায়? এভাবে চাপিয়ে দেওয়া যায়? খুব অবাক হয়েছি আমি বিষয়টায়। এটাতে যেমন আমার খারাপ লেগেছে, অপর ব্যক্তিরও খারাপ লাগার কথা।’