অবশেষে সুদিন ফিরিয়াছে…
হারানো সিংহাসন ফিরে পেল 'মিঠাই'। ৮.৫ পেয়ে চলতি সপ্তাহে ফের 'বাংলার সেরা' জি বাংলার ওই ধারাবাহিক। নায়িকার আসন্ন মৃত্যুই তবে জিয়নকাঠি? দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার টনিক? প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই হেসে ওঠেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। বলেন, 'আমার তো এখন সে রকম কোনও কাজই নেই। শুধু শুয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আমি তো ভীষণ ছটফটে। তাই অস্বস্তিও হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই নড়েচড়ে উঠছি।'
অতীতে টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান ছিল 'মিঠাই'-এর দখলে। সময় গড়াতেই সেই চিত্র বদলায়। নিজের জায়গা হারায় ধারাবাহিকটি। গত কয়েক সপ্তাহেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ছিল অধরা। 'মিঠাই' যদিও প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নন। তাঁর কথায়, 'দেড় বছর ধরে মানুষ আমাদের ভালোবাসছেন। একটা সময়ে আমরা টিআরপি তালিকা পর্যন্ত দেখতাম না। জানতাম কী ফল আসবে। নতুন নতুন ধারাবাহিক আসবে, এক নম্বর হবে। সেটাই তো স্বাভাবিক। এ সব নিয়ে আমরা কেউই কখনও আলাদা করে ভাবি না।'
রুদ্র-নীপার বিয়ে, জীবন-মৃত্যুর টানাটানি— টিআরপি-র লড়াইয়ে টিকে থাকতে ব্যবহৃত হয় মোক্ষম সব উপাদান। ফলও পাওয়া গেল হাতেনাতে। উপরি পাওনা হিসেবে ট্রোল-কটাক্ষ থেকে সাময়িক নিস্তার। অবশ্য সৌমিতৃষার মতে, দর্শকদের সমালোচনাও এক ধরনের প্রাপ্তি। তিনি বললেন, 'যাঁরা আমাদের ভালোবাসেন, তাঁরাই তো নিন্দা করবেন। অনুরাগীদের রাগ করার অধিকার আছে। ভালো লাগলে যদি প্রশংসা করেন, খারাপ লাগলেই বা বলবেন না কেন? আজ নিশ্চয়ই সবাই খুশি হবেন। আমরাও খুব খুশি।'
তবে মিঠাই তো এখন শয্যাশায়ী! মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। ফিরবে তো সে? হালকা হেসে সৌমিতৃষার আশ্বাস, 'মিঠাই কোত্থাও যাবে না। ও ফিরবেই।'