কদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাওয়া পুজো উপহার শেয়ার করে নিয়েছিলন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। বরাবরাই তিনি ঘাসফুলের সমার্থক। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও তাঁর দেখা মিলেছিল গত বছর। এখানেই শেষ নয়, ভোট প্রচারেও ছিলেন তিনি তৃণমূলের হয়ে। আর আরজি কর আবহে তাঁর সুর কি মিলল নিজের পছন্দের দলের সঙ্গেই? তিনি উৎসবের পক্ষে না বিপক্ষে?
জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিক দিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছন সৌমিতৃষা। আর তারপরই তার কাছে আসে, প্রধান সিনেমায় নায়িকা হওয়ার সুযোগ। দেবের বিপরীতে বড় পর্দায় নাম লেখানো, মুখের কথা নয়। শুধু ভারত নয়, পড়শি বাংলাদেশেও সৌমিতৃষার ভক্ত সংখ্যা প্রচুর। আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ চোখে পড়েছে সৌমিতৃষার সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে উৎসব নিয়ে কী ভাবছেন?
আরও পড়ুন: আরজি কর নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন! ‘হাত পা ঠান্ডা হচ্ছে’, লিখলেন সুদীপ্তা
সৌমিতৃষা জানিয়েছেন, তিনি এবার পুজো কাটাবেন বাড়িতেই, পরিবারের সঙ্গে। এছাড়া কিছু উদ্বোধন রয়েছে। আর বাইরে খেতেও যাবেন। আনন্দবাজারকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘প্রতিবাদ আর পুজোর মধ্যে কোনও বৈরিতা নেই। আমি প্রতিবাদের পোস্ট শেয়ার করেছি, তার মানে পুজোকে বয়কট করতে পারি না! পুজোর সঙ্গে কত মানুষের রোজগার জড়িয়ে, কত মানুষ হয়তো বাড়ির ওষুধ কিনবেন, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার বইটা কিনে দেবেন। সারা বছরের জীবিকা পুজোর উপরেই হয়তো কারও নির্ভর করে। উৎসবে না ফেরা আর উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষকে জীবিকা থেকে বঞ্চিত করা এই দুটো আলাদা।’ সঙ্গে স্পষ্ট করেন, ‘আমি পুজোর বিপক্ষে নই। তবে বিচারও চাই।’
আরও পড়ুন: দেশভাগের গল্প, জিন্না-গান্ধীর দ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে ফ্রিডম অফ মিডনাইটের টিজার
কাজের সূত্রে, এরপর সৌমিতৃষাকে দেখা যাবে সৌরভ দাসের বিপরীতে ১০ই জুন ছবিতে। যার শ্যুটিং ইতিমধ্যেই শেষ। যদিও মুক্তির তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়াও ওয়েব সিরিজ 'কালরাত্রি'-তেও দেখা মিলবে তাঁর। এটি দিয়েই ওটিটি যাত্রা শুরু করছেন তিনি। তাঁর চরিত্রের নাম দেবী।
আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় কাপড় ছাড়তে বাধ্য হন বিদ্যা বালন, শুধু থাকত একটা কালো কাপড়
সৌমিতৃষা কুণ্ডু অভিনয় শুধু করেছিলেন নেতিবাচক চরিত্রে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত 'এ আমার গুরুদক্ষিণা' ধারাবাহিকে ঝিল্লি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর তাঁকে দেখা যায় 'কনে বৌ'-এ মুখ্য চরিত্র কলি সেন হিসেবে। সেখান থেকেই সোজা মিঠাই-তে।