শয্যাশায়ী মিঠাইকে দেখে বেজায় খুশি ভক্তরা! অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু।
কিন্তু কেন? হাসি-খুশি-প্রাণোচ্ছ্বল নায়িকাকে মুষড়ে পড়তে দেখে কি ভালো লাগার কথা?
উত্তর দিলেন স্বয়ং 'মিঠাই'। বললেন, 'আমাকে অনেকেই বলছেন আরও কয়েক দিন এ ভাবে থাকতে। তা হলে সিদ্ধার্থের সঙ্গে মিঠাইয়ের অনেকগুলি ভালো দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে।'
পর্দায় অকাল বসন্ত ডেকে আনে 'সিধাই'-এর রসায়ন। কিন্তু সবটাই নাকি ক্যামেরার সামনে। গুঞ্জন, বাস্তবে বন্ধ সহকর্মীর আদৃত রায়ের সঙ্গে কথা বন্ধ সৌমিতৃষার। কানাঘুষো বলছে, অভিনয় করতে করতে নায়ককেই মন দিয়ে বসেছেন তিনি। আর তাই 'দিদিয়া' কৌশাম্বি চক্রবর্তীর সঙ্গে 'উচ্ছেবাবু'র ঘনিষ্ঠতায় বিরক্ত 'মিঠাই'। ব্যাস, যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাতও সেখান থেকেই।
সৌমিতৃষা অবশ্য জানিয়েছেন, আদৃতের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ রয়েছে আগের মতোই। তাঁর কথায় , 'পর্দায় আমরা নায়ক-নায়িকা। তার বাইরে আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আছে। আমি আর আদৃত আগেও ভালো বন্ধু ছিলাম। এখনও আছি। আমি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রেম করতে নয়, কাজ করতে এসেছি।'
তবে কি এই ত্রিকোণ প্রেমের আখ্যান মিথ্যা? যা রটেছে, তার কিছুই কি ঘটেনি? 'মিঠাই'-এর স্পষ্ট জবাব, 'লোকজন আমার আর আদৃতের যে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলে, সে সম্পর্ক কোনও দিন ছিল না। আমি বা আদৃত যদি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই তবে আমাদের দু'জনের কোনও অসুবিধা থাকবে না। কারণ আমাদের কখনওই সে রকম কোনও সম্পর্ক ছিল না। একটা সময়ে অনুরাগীরাও সেটা বুঝবেন।'
দিন কয়েক আগেই চর্চা উঠে আসে 'মিঠাই' পরিবারের একটি নিজস্বী। সম্ভবত রুদ্র-নীপার রিসেপশনের পর্বের শ্যুট চলাকালীন সেই ছবি তোলা হয়েছিল। সেখানে ধারাবাহিকের প্রায় সকলে থাকলেও দেখা যায়নি সৌমিতৃষাকে। ভক্তদের একাংশের অভিযোগ আদৃতের কারণেই কোণঠাসা করা হচ্ছে তাঁকে। সত্যিই কি তাই? সৌমিতৃষা বললেন, 'এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। যে ছবি নিয়ে এত কথা হচ্ছে, সেখানে কিন্তু ঐন্দ্রিলাকেও দেখা যাচ্ছে না। আমরা দু'জনে তখন নাচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম।'
তাঁর সংযোজন, 'আরও একটা কথা বলতে চাই। আমার আর আদৃতের ঝগড়া হলেও তা প্রেমঘটিত কারণে হয়নি। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে অনেক সময়ই মনোমালিন্য হয়। আবার তা মিটেও যায়।'