গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি বাংলার সারেগামাপা-র গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগিতা শেষ হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয় বিজয়ীদের নাম। এমনকি সারেগামা-র প্রাক্তন বিজয়ী সৌম্য় চক্রবর্তী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতি সিজনের যুগ্ম বিজয়ীর নাম ফাঁস করেন। এরপর কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় গায়ককে।
পরে অবশ্য সেই পোস্টটি মুছে ফেলেন গায়ক। কিন্তু সৌম্য একাই সারেগামাপা-র বিজয়ীদের নাম ফাঁস করেছেন তা নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই সারেগামাপা-র বিজয়ীদের পরিচিতি ফাঁস করেছেন। জানা গিয়েছে, এই সিজনে খুদেদের মধ্যে থেকে একজনকে বিজয়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে বড়দের মধ্যে থেকে সেরার শিরোপা গিয়েছে একজনের মাথায়। সবচেয়ে বড় কথা এইবার প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন এক মহিলা প্রতিযোগী!
সৌম্য নাম ফাঁস করায় তাঁকে তুলোধনা করা হয়েছিল, কিন্তু এবার গায়কের পাশে দাঁড়াল তাঁর ভক্ত। তিনি জানান, নেতাজি ইন্ডোরে প্রায় হাজার পাঁচেক দর্শকের সামনে খোলাখুলিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে মোবাইলের ব্যবহারেও কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। সুতরাং সৌম্যর নামে যে অভিযোগ উঠেছে গোটাটাই অবাস্তব। সেই পোস্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ধন্যবাদ জানান গায়ক।
এই নিয়ে সৌম্যর কী প্রতিক্রিয়া? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে গায়ক বলেন, ‘অনেক সময় উড়ো খবর আসে। আমি নিজে ওখানে ছিলাম না, আমি জানি না কে বিজয়ী হয়েছে। আসলে উড়ো খবর শুনে একটু এক্সাইটেড হয়ে পড়েছিলাম। পরে মনে হয়েছে পোস্ট করাটা ঠিক নয়, তাই মুছে ফেলি। এই বিষয় নিয়ে আর মাথা ঘামাতে চাই না’। সৌম্যর কথায়, ‘সারেগামাপা-র প্রত্যেক প্রতিযোগিই উইনার হওয়ার যোগ্য, কোথাউ না কোথাউ তাঁরা একটা শ্রেণির দর্শকের কাছে বিজয়ীও বটে। ব্যক্তিগতভাবে যেই বিজয়ী হোক, যেই রানার্স আপ হোক না কেন সকলেই যেন জীবনে সফল হয়, গানের জগতে নাম করে এটাই শুভেচ্ছা। সবার জন্য আমার শুভকামনা। আমরা তো একটাই পরিবার।’
সৌম্যর পাশে দাঁড়িয়ে জনৈক মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘নিচে দুটি ছবি আছে প্রথমটা দেখে একটু হাসি পেলো ছবিটির নীচের দিকে লেখাটা দেখে। কারণ বাঁকড়ি ভাষায় এটাকে বলে ঢপের চপ অভিযোগ, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে কম করে পাঁচ হাজার দর্শকের সামনে খোলাখুলি ভাবে প্রতিযোগিতা হল, জয়ী-বিজয়ী ঘোষণাও করা হোলো। মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ কিন্তু ছিল না কারণ আমি নিজে মোবাইল নিয়ে ভেতরে গিয়ে ছিলাম তবে ওখানে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা ভিডিও করতে মানা করছিলেন কিন্তু আমি যতক্ষণ ওখানে ছিলাম এদিক ওদিক তাকিয়ে যা বুঝতে পারলাম তাতে মোটামুটি গ্যালারি তে থাকা প্রত্যেক দর্শক ফলাফল তো দূরের কথা যারা গান গেয়েছেন তাদের গানের মোটামুটি ভিডিও ফটোগ্রাফি ভালোই করেছেন। সে ক্ষেত্রে জি বাংলা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই কারণ সেই ভিডিও আমরা ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছি।’