একুশের নির্বাচনের আগে গত দু-মাসে তৃণমূল ও বিজেপিতে মুড়ি-মুড়কির মতো যোগ দিয়েছেন টলি সেলেবরা। সেই তালিকায় নাম ছিল সৌরভ দাসেরও। আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২২ জানুয়ারি তৃণমূলে যোগ দেন সৌরভ। কিন্তু যোগদানের আধঘন্টারও কম সময়ে পালটে যায় অভিনেতার গোটা জগত।
সেইদিনই নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। ঠিক তার আগেরদিন সৌরভের জন্মদিন পালনের সময়কার ভিডিয়ো ক্লিপিংস সেটি। বোন-বাবা এবং আরও চেনা-পরিচিত ও ফ্যানেদের উপস্থিতিতে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন সৌরভ। ভিডিয়োর একটি অংশ নেটনাগরিকদের নজর এড়ায়নি। যা দেখে বোনের সঙ্গে অশালীন আচারণ করেছেন সৌরভ, এমন দাবি করা হয়। ‘ভাই-বোনের নোংরামো!’, ‘বোনের বুকে হাত দিয়ে রয়েছেন সৌরভ'- এহেন কটাক্ষের শিকার হন অভিনেতা। সেই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সৌরভ জানান, গোটা ঘটনার জেরে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পরেন। তাঁর পরিবারকেও ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি দিনকয়েক আগে দুশ্চিন্তায় ভোগ তাঁর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত করতে হয়েছিল। বিতর্কিত ঘটনার পর সৌরভ নিজের ফোন নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন। সহকারীর ফোনের মাধ্যমে কেবলমাত্র পরিবারের মানুষজনের সঙ্গেই যোগযোগ রেখেছিলেন বলে জানালেন।
মায়ের কথাতেই সকলকে জবাব দিতে ঘটনার রাতে ইনস্টাগ্রামে গোটা ভিডিয়োটা তুলে ধরে নিজের সাফাই পেশ করেছিলেন তিনি। সৌরভের কথায়, ‘নিজেকে একটু স্পষ্ট করে মেলে না ধরলে এই কুৎসিত কথাবার্তার কোনও লাগাম থাকবে না। তাই ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিয়োর অন্য অংশ পোস্ট করে লেখাটা লিখেছিলাম’।
যদিও ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য পোস্ট করা সৌরভের সেই দীর্ঘ ভিডিয়ো দেখেও প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘ভিডিয়োর বিতর্কিত অংশটুকুর সময় কেন জুম করে শুধু মুখের অংশটুকুই দেখানো হয়েছে?’
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নাকি প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর কথাও ছিল সৌরভের, কিন্তু এই ঘটনার পর তিনি দলকে অনুরোধ করেন যাতে নির্বাচন থেকে তাঁরে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। তবে দলের অন্য প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যাবেন সৌরভ, এমনটাই জানালেন। বিশেষত পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্যারাকপুরে প্রচারে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।সৌরভের কথায়, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, এই কথাটা এত লোক এত ভাবে বলে বেড়াচ্ছেন যে কথাটার ওজন কমে গিয়েছে। বাবার মতো মানুষের সাহায্য করব। এর জন্য জন্য প্রার্থী হওয়ার দরকার নেই’।