'ছবিমুরাকে জঙ্গল মে আপ যব প্যায়ের রাখেঙ্গে, তবে লোমটে খড়ে হো যায়েগে। পর হর খতরে সে বাঁচানেকে লিয়ে ইহা পে স্বয়ং মা দূর্গা হ্য়ায়। ইয়ে কাহানি প্রকৃতি কি, ফির জনতা কি। ছুপি হুয়ি খুূবসুরতি কি, ইয়ে হ্যায় কাহানি ত্রিপুরা কি।' এমনটাই বলছেন 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
এবার ত্রিপুরার ট্যুর গাইড হয়ে ছবিমুরার জঙ্গল থেকে উজ্জয়ন্ত প্যালেস ঘুরিয়ে দেখালেন সৌরভ। নিজেও ঢুঁ মারলেন ত্রিপুরার আনাচকানাচ। পর্যটকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলেন, ‘তো কব আ রহে হ্য়ায় ত্রিপুরা? (তাহলে ত্রিপুরা কবে আসছেন?)’ ত্রিপুরা ট্যুরিজিম-এর ফেসবুকের পাতায় পোস্ট করা হয়েছে মহারাজের এই ভিডিয়োটি।
তবে শুধু হিন্দিতেই নয়, কখনও আবার বাংলাতেই ত্রিপুরার ডুম্বুর জলাশয়ে আসার আহ্বানও করেছেন সৌরভ। বলেছেন, ‘ডম্বুর লেক আসলে একটা আস্ত টাইম মেশিন। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এখানে এলেই সময়ের গতি স্লথ হয়ে যায়। টলটলে শান্ত জলে নৌতা করে ভেসে পরলেই হল। প্রতিবছর শয়ে শয়ে পরিযায়ী পাখি আসে এখানে। নিঝুম প্রকৃতির সঙ্গে এখানে রয়েছে স্থানীয় মানুষের আপ্যায়নের আলিঙ্গন। এই আলিঙ্গন আতিথিয়তা, সারল্যের। এ আলিঙ্গন ত্রিপুরার। কবে আসছেন ত্রিপুরায়?’
আবার কখনও উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ঘুরে দেখিয়েছেন সৌরভ। বলেছেন, 'দেওয়ালেরও নাকি কান থাকে, এখানে এলে অবশ্য দেওয়ালে কানপাতা অনিবার্য। এই প্রসাদের প্রতিটি দেওয়ালে শোনা যায় ইতিহাসের কথা। গোটা ত্রিপুরার হৃদস্পন্দন ধ্বনিত হয়, এই উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে। এই প্রাসাদ উত্তরপূর্বের গর্বের কাহিনী। এই কাহিনী ইতিহাসের, ঐতিহ্যের, পরমপরার এই কাহিনী ত্রিপুরার'।
ভাবছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কেন সকলকে ত্রিপুরা যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। বছরখানেক আগেই। সেই সুবাদে প্রতিবেশী রাজ্যে পর্যটক টানতে সরকারি বিজ্ঞাপনের অংশ হয়েছেন সৌরভ।