দাদাগিরির মঞ্চে ধরা দেন অন্য এক সৌরভ। ক্রিকেটের মাঠে ব্যাটসম্যান বা ক্যাপ্টেন সৌরভ ছিলেন একরকম, প্রশাসক সৌরভ আরও একরকম। কিন্তু দাদাগিরির মঞ্চে সঞ্চালক সৌরভের সঙ্গে সহজেই একাত্ম হতে পারেন তাঁর অনুরাগীরা। ব্যক্তিগত জীবনের টুকরো-টাকরা ঝলক এই মঞ্চে দাদা প্রায়ই তুলে ধরেন। সৌরভের সেন্স অফ হিউমার বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে এই মঞ্চে।
আর একথা তো কারুরই অজানা নয়, ফিল্ড হোক বা মঞ্চ সবসময় স্ট্রেট ব্যাটেই খেলতে ভালোবাসেন সৌরভ। লুকোচাপা একদম পছন্দ নয় বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের। সোজা প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর দেওয়াই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি তাঁর। ফিল্ড হোক বা মঞ্চ সবসময় স্ট্রেট ব্যাটেই খেলতে ভালোবাসেন সৌরভ। লুকোচাপা একদম পছন্দ নয় বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের। সোজা প্রশ্নের সোজাসাপটা উত্তর দেওয়াই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি তাঁর। সম্প্রতি জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো-তে সৌরভের প্রশ্নের মুখে পড়লেন সৌরভ। অভিনেতা সৌরভ দাস তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটারের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখেন। সব প্রশ্নের চটপট জবাব দিলেন সৌরভ।
সৌরভকে পর্দার মন্টু পাইটল প্রশ্ন করেন, তিনি কখনও তাঁর বিয়ের তারিখ ভুলে গিয়েছিলেন কিনা! মাথা নেড়ে দাদা সটান জানালেন, তিনি কোনোদিন ভোলেননি। তবে এমনটা হয়েছে যে কাজের চাপে বিবাহবার্ষিকীটা আলাদাই কেটেছে দুজনের। তবে সবসময় ওই বিশেষ দিনে ডোনাকে উপহার কিনেও দেওয়া হয়নি সৌরভের। তবে বউকে তা ঘুণাক্ষরেও তা বুঝতে দেননি।অজুহাত হিসাবে বলতেন, ‘ভালো গিফট খুঁজে পাইনি, তাই পরে হবে’।
সৌরভ এমনটাও জানতে চায়, যদি ডোনার সঙ্গে মহারাজের ঝগড়া হয় তবে আগে সরি কে বলে? বেশ দৃঢ় গলায় সৌরভ জবাব দেন, ‘আমি কোনওদিনই আগে সরি বলি না’। মিটমাট করবার পুরো জিম্মাটাই যে ডোনার ঘাড়ে তা বুঝিয়ে দিলেন সৌরভ।
সৌরভের কিশোর বয়সের প্রেম ডোনা, পরস্পরের প্রতিবেশী তাঁরা। পরিবারের কাছে লুকিয়ে ১৯৯৬ সালেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। প্রায় এক বছর পর সবটা জানাজানি হতে সামাজিক রীতি মেনে চারহাত এক হয় দুজনের। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান সানা গঙ্গোপাধ্যায়। আপতত লন্ডনে পড়াশোনা করছে সে। সৌরভের স্ত্রী দেশের অন্যতম প্রথিতযশা ওডিসি নৃত্যশিল্পী।