বাংলার ‘দাদা’ সৌরভ! সঙ্গে বাংলার সেরা ক্রাশ বললেও ভুল হবে না। খুব কম মেয়ে আছে যাঁরা একবার অন্তত প্রেমে পড়েনি প্রাক্তন ক্রিকেটারের। সবসময়ই ফিট থাকতে ভালোবাসেন। ৪৯ বসন্ত যে পেরিয়ে এসেছেন তা সত্যি তাঁকে দেখে বোঝা দায়!
সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে জি বাংলায় ‘দাদাগিরি’র নতুন সিজন। আর বরাবরের মতো এবারেও দাদার সাথে গেম শো খেলতে আসা প্রতিযোগীদের সাথে থাকে প্রশ্নের ঝুলি। সত্যি তো, একসময় যে ছেলেটা চার-ছয় হাঁকিয়ে, একের পর এক ম্যাচ জিতিয়ে বাংলার মানুষের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তাঁর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা তো মনে থাকবেই! এমনকী, প্রশ্ন করতে ছাড়েন না তারকারাও।
দাদাগিরিতে সৌরভের সাথে খেলতে এসেছিলেন কমলেশ্বর, পায়েল, ঋদ্ধি, ঋতব্রতরা। আর সেখানেই প্রশ্নবানে জর্জরিত হন দাদা। কমলেশ্বর রায় যেমন জানতে চান সৌরভের কাছে, তিনি যদি উত্তম কুমারকে সামনে পেতে তাহলে কি প্রশ্ন করতেন। যাতে সৌরভ উত্তর দেন, ‘এত খেয়েও কীভাবে ফিট থাকে জানতে চাইতাম’! প্রসঙ্গত, এক জামবাটি মাংস খেতেন উত্তম। খাওয়ার শখ ছিল মারাত্মক।
আর এর পরেই প্রশ্ন করেন টলি অভিনেত্রী পায়েল সরকার। সৌরভের কাছে জানতে চান, ‘আচ্ছা এখনও তুমি কীভাবে এত ফিট বলতো? এখনও মেয়েরা তোমার প্রেমে পড়ে’। আর তাতে সৌরভ উত্তর করেন, ‘কই শুধুই তো শুনি, তাদের কাউকেই তো দেখি না’। তারপরেই অবশ্য জিভ কেটে বলেন, ‘আজ আর বাড়িতে ঢুকতে দেবে না’।
সঙ্গে এটাও জানান ডোনা মানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী রেগে গেলে তিনি বাড়িতেই থাকেন না! স্ত্রীকে নিয়ে এর আগেও নানা মজার মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে সৌরভকে। কীভাবে বউয়ের ভয়ে বিছানায় ভেজা চাদড় রাখেন না, বউয়ের সাথে শাড়ি কিনতে গেলে কী কী হয়, বউয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গেলেও কী হতে পারে, সেসবই খেলার ফাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন সৌরভ।