সময় বদলে যায়। সময়ের নিয়মে বয়স বাড়ে, আজকে যা বর্তমান আগামিকাল সেটাই হয়ে যাবে অতীত, ফেলে আসা দিন। ১ ডিসেম্বর, রবিবার এমনই এক ফেলে আসা মধুর অতীতের স্মৃতি ফেসবুকের পাতায় ভাগ করে নিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই অতীত স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সৌরভ কন্যা সানা।
কী সেই স্মৃতি?
রবিবার ফেসবুকে সৌরভ যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, সেখানে তাঁকে সাদা পুরনো দিনের কম্পিউটরের সামনে বসে ইমেল চেক করতে দেখা যাচ্ছে। সেদিন সেই ইমেলে এসেছিল তাঁর সদ্যোজাত কন্য়া সানার ছবি। তাতে সাদা কাপড়ে জড়ানো পুতুলের মতো ছোট্ট শিশুটিকে তখন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কোলে। সৌরভ তখন হাসিমুখে এক অদ্ভুত আনন্দের সঙ্গে ছবিটি দেখছিলেন।
দূর থেকে এভাবে সদ্যোজাত মেয়ে দেখা ছাড়া আর কীই বা করতে পারতেন! কারণ, যখন সানার জন্ম হয়, মহারাজ তখন ছিলেন সাউথ আফ্রিকায়। ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর জন্ম হয়েছিলেন সৌরভ-ডোনা কন্যার। সেদিন সৌরভ ছিলেন দেশ থেকে বহু দূরে। কারণ, তিনি তখন পুরো দস্তুর ভারতীয় দলের ক্রিকেটার। সেসময় চলছিল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। সানার জন্মের সেই ছবি পোস্ট করে মহারাজ লিখেছেন, ‘জীবনের সবথেকে মধুর ইমেইল। সানার প্রথম ছবি...দক্ষিণ আফ্রিকায় থেকেও সেদিন মনে হয়েছিল কাছেই আছি।’
আরও পড়ুন-'আদৃত ভালো অভিনেতা বটে, তবে মানুষ হিসাবে...'! মিত্তির বাড়ির নায়ককে নিয়ে কী বললেন পারিজাত?
নাহ, সৌরভ তখন পিতৃত্বকালীন ছুটি পাননি, সেসময় খেলে ছেড়ে ছুটি নিয়ে হাসপাতালে থাকবেন, তেমনটা কোনও খেলোয়াড় ভাবতেও পারতেন না। আজকাল অবশ্য অনেককিছুই বদলেছে। সন্তান জন্মের সময় পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তবে সচিন-সৌরভ কিংবা তারও আগে গাভাসকরদের জমানায় এসব ছিল না। আর তাই সাউথ আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফিরেই তবে মেয়র মুখ দেখেছিলেন সৌরভ। আর তখন স্মার্ট ফোন, হোটাসআপ, ভিডিয়ো কল, এসব কিছুই ছিল না।
সৌরভ কন্যা সানা এখন অনেকটাই বড়। গতমাসেই ২২তম জন্মদিন সেলিব্রেট করেছে সে। তবে এদেশে নয়, লন্ডনে। আপাতত সৌরভ-ডোনা কন্যাও প্রবাসী। ইংল্যান্ডের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ইনোভারভিতে চাকরি করে সে। বেতন প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি বলেই জানা যায়।