প্রায় বছর আড়াই আগে ঘোষণা হয়েছিল ‘প্রিন্স অফ কলকাতা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক। তবে সময় গড়ালেও, প্রোজেক্ট নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে। দাদার চরিত্রে পাঞ্জাবি মুন্ডা আয়ুষ্মান খুরানার অভিনয়ের কথা শোনা যাচ্ছে। একসময় রাজ্যস্তরে ক্রিকেট খেলেছেন আয়ুষ্মান। শোনা যাচ্ছি, ব্যাট হাতে প্র্যাকটিসও শুরু করে দিয়েছেন। তবে কবে সিনেমা আসবে পর্দায়, তা নিয়ে নেই কোনও তথ্য।
এরই মাঝে সৌরভ ফাঁস করলেন, তাঁর একমাত্র মেয়ে ডোনা কাকে বেছে নিলেন ‘মা’ হিসেবে। থুরি পর্দার মা। অর্থাৎ ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্রে কাকে চাইছেন সানা। সৌরভ প্রতিদিনকে জানালেন, তাঁর মেয়ের পছন্দ তৃপ্তি দিমরিকে। রশ্মিকা মন্দনাকে সরিয়ে আপাতত ন্যাশনাল ক্রাশ এই তৃপ্তি। রণবীরের সঙ্গে তাঁর শয্যা দৃশ্য ঝড় তুলেছিল ২০২৩ সালের অ্যানিমেল-এ। একেই সানার মনে ধরেছে।
আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার প্রি ওয়েডিংয়ে সবার চোখ শাহরুখে! আব্রামকে নিয়ে কী এমন করলেন কিং খান
করণ জোহরের ধড়ক ২, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে ভুলভুলাইয়ার সিক্যুয়েলের কাজ হাতে রয়েছে তৃপ্তির। এরই মাঝে, সানা চান তাঁর পর্দার মা হয়ে উঠুক এই অভিনেত্রীই। আপত্তি একেবারেই নেই সৌরভের। মেয়ের মতের সঙ্গেই তাঁর মত। যদিও ডোনা নাকি শুনেই বলেছেন, ‘আমার থেকেও সুন্দরী।’ এখন দেখার নির্মাতারা সৌরভ-কন্যার পছন্দকে কতটা গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন: চুলবুলি শুভশ্রী মত্ত নিজেকে নিয়ে, ভিডিয়ো শেয়ার করে প্রকাশ্যে কী লিখে বসলেন রাজ
এর আগে শোনা গিয়েছিল বাংলার মহারাজের বায়োপিক পরিচালনা করবেন রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বর্য রজনীকান্ত। তবে বর্তমানে শোনা যাচ্ছে পরিচালকের আসনে থাকছেন বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে। যিনি এর আগে ‘লুটেরা’, ‘উড়ান’-এর মতো সিনেমা বানিয়েছেন। দাদার ক্রিকেট জীবন, প্রেম-বিয়ে, কলকাতার বাড়ি সবই থাকবে এই বায়োপিকে। মাঝে শোনা গিয়েছিল, চিত্রনাট্যে কড়া নজর ছিল সৌরভের। নিজের বায়োপিকে কোনও রকম ফাঁক রাখতে রাজি নন দাদা।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ে করব সলমনকে’, পানভেল ফার্ম হাউজে মহিলার উৎপাত, বিষ্ণোই গ্যাং-এর খুনের নয়া ছক নয় তো?
সানা বর্তমানে চাকরি করছেন লন্ডনে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিলাভ করে একটি নামি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত সৌরভের একমাত্র মেয়ে। দাদা যদিও চান, মেয়ে দেশে ফিরে চাকরি করুক। তবে সানা নাকি দেশে ফিরতে একেবারেই রাজি নন বর্তমানে। কিছুদিন আগে মেয়েকে মিস করে এই নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছিলেন সৌরভ। দাদাগিরিতে বলেছিলেন, ‘ও লন্ডন থেকে তখনই ফিরবে, যদি ও নিজে মনে করে’।