নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আজকাল একটু বেশিই সচেতন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশাসনিক দায়িত্ব কাঁধে আসবার পর থেকে হামেশাই কর্মব্যস্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ২২ গজে টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্ব সামলেছেন, এরপর সিএবি আর এখন বিসিসিআই-এর দায়িত্ব হাসিমুখে পালন করে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বাইরে থেকে চাপ স্বীকার করে না দাদা, এটাই তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি। প্রতিপক্ষকে চোখের ভাষা বুঝতে দেওয়াটা তাঁর স্বভাবে নেই।
কিন্তু তিনিও তো দিনের শেষে রক্তমাংসের মানুষ! তাই তো ‘যুদ্ধ জয়ের পর’ প্রশান্তির হাসি দাদার মুখে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি গত কয়েকদিন ধরেই বেশ চাপে ছিলেন ইডেনে আইপিএলের দু প্লে-অফ ম্যাচ নিয়ে। কারণ দুই ম্যাচেই বৃষ্টির ভয়ঙ্কর ভ্রুকুটি ছিল। আরসিবি বনাম লখনউ সুপার জায়েন্ট ম্যাচটি ভেস্তে যাবে এমনটা ভেবেছিল অনেকেই, তবে শেষ পর্যন্ত বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সৌরভ। তাই তো ম্যাচ শেষে মধ্যরাতে সিএবি-তে নিজের ঘরে বসে ‘ফালুদা’ খাওয়ার আবদার করে বসেন সৌরভ। এতেই বোঝা গেল অনেকটা চাপমুক্ত মহারাজ। সম্প্রতি সৌরভ ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে ফাঁস করেছেন মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকোলেট- এই সব বাদ তাঁর ডায়েট চার্ট থেকে। যদিও এদিন সব ভুললেন সৌরভ, ওই 'চিট ডে' আর কী!
মঙ্গলবার প্লে-অফের প্রথম ম্যাচের দিন সকাল থেকে বৃষ্টির জেরে চারবার ইডেনে ছুটেছেন সৌরভ, ঠিক যেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা! তবে ইডেনের দুটো ম্যাচই সফল। টিকিটের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া, কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা সত্যিই দেখিয়ে দিল। আইসিসির চেয়ারম্যানকে পাশে নিয়ে ইডেনের গ্যালারি থেকে যখন ম্যাচ দেখছিলেন সৌরভ, তাঁর চোখেমুখে অদৃশ্য কোনও পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়ার আনন্দ চোখে পড়ছিল।
একদম শেষ পর্যায়ে আইপিএল। গুজরাত ইতিমধ্যেই ফাইনালে। ট্রফি জয়ের সবচেয়ে যোগ্য দাবিদারও বটে। কিন্তু জয়ের হাসি হাসবে কে? সৌরভ কী ভাবছেন? সংবাদমাধ্যমে দাদা জানালেন, ‘বলা মুশকিল। ওই দিন যে দলের ব্যাটে–বলে লেগে যাবে তারাই চ্যাম্পিয়ন। দেখলেন তো ইডেনে। দুটো ম্যাচই শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াল।’
আপতত ২৯ তারিখ জমজমাট আইপিএল ফাইনালের অপেক্ষা। ওইদিন এ আর রহমান এবং রণবীর সিংয়ের পারফরম্যান্সে জমে যাবে আবহ। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।