আরজি কর নিয়ে আজ গোটা দেশে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে গোটা বাংলা। যদিও প্রতিবাদের আগুন বাংলা ছাড়িয়ে দেশ, দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। ক্ষোভ জন্মাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনের উপর। যার ছাপ গিয়ে পড়ছে কিছু তারকাদের উপরেও। এই তালিকাতে রয়েছেন বাংলার মহারাজ, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরজি কর নিয়ে মন্তব্য করার সময় একদম শুরুর দিকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’, ‘দুর্ঘটনা’-র মতো দুটো শব্দ ব্যবহার করেন সৌরভ। যা নিয়ে রীতিমতো তুলোধনা হন। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বললেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক যাতে সারা পৃথিবীর কাছে একটা উদাহরণ তৈরি হয়।’
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, ‘অরাজনৈতিক মানুষরা যে ভাবে রাস্তায় নেমেছেন, চাই মেয়েটি যেন সুবিচার পায়। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক যাতে একটা উদাহরণ তৈরি হয়। বিচার পেতে হয়তো সময় লাগে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে ভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তা দেখার মতো।’
তিনি স্পষ্ট করেন, এই ঘটনার নজিরবিহীন শাস্তি দেখতে চান। বলেন, ‘যে বা যারা এই কাজটা করেছে, তাদের শাস্তি দিতেই হবে। এমন শাস্তি দেওয়া হোক, সারা পৃথিবীর কাছে তা যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’
সৌরভের যে বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক:
একদম প্রথমে সৌরভকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, ন্যক্কারজনকও বটে। এমন অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। এই ঘটনায় প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ উচিত। আসলে এই ধরণের ঘটনা যে কোনও জায়গায় হতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে ঘটনাটা ঘটল হাসপাতালে। একটা ঘটনার উপর ভিত্তি করে পুরো সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করাটা ঠিক নয়। বাংলায় মেয়েদের নিরাপত্তা আছে। এমনকী গোটা ভারতেও মেয়েদের নিরাপত্তা রয়েছে। এই ধরণের জঘন্য অপরাধ পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তবে এই ঘটনা কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে।’
পরে তিনি জানান, তাঁর বক্তব্যের ভুল অর্থ বের করা হচ্ছে। অবশ্য এরপর আন্দোলনে নামার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন তিনি। যদিও সেই সময় তাঁকে নিয়ে ওঠা জনরোষ দেখে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। সেই মিছিলে হাঁটেন তাঁর স্ত্রী-কন্যা ডোনা ও সানা। সৌরভকে মিছিল শেষে নির্যাতিতার ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালাতে দেখা গিয়েছিল।