রাত পোহালেই নতুন জীবন শুরু করছেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ৫৯ বছর বয়সে এসে দ্বিতীয়বার বিয়ের পর্ব সারবেন সৌরভের দাদা। পাত্রী স্নেহাশিসের দীর্ঘদিনের প্রেমিকা তথা লিভ ইন পার্টনার অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে আসছেন নতুন বউ! ৫৯-এ ফের বিয়ের পিঁড়িতে সৌরভের দাদা স্নেহাশিস, পাত্রী কে?
নৃত্যশিল্পী মম গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাম্পত্য টেকেনি স্নেহাশিসের। সিএবি প্রেসিডেন্টের এক মেয়েও রয়েছে। রবিবার দাদার বিয়ের আসরে থাকবেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হ্যাঁ এমনই খবর ঘনিষ্ঠ সূত্রের। কলকাতায় থাকলেও ভাসুরের বিয়েতে নাও যেতে পারেন ডোনাও।
খবর, সৌরভ ও ডোনা লন্ডনে ছুটি কাটিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন। কিন্তু রবিবার আইসিসির বৈঠকে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কায় উড়ে যাবেন দাদা। সেইকারণেই দাদার খুশিতে সামিল হতে পারবেন না তিনি। তবে ৭ই অগস্ট স্নেহাশিস-অর্পিতার গ্র্যান্ড রিসেপশনে হাজির থাকবেন সৌরভ-ডোনা, খবর তেমনটাই। ইএম বাইপাস লাগোয়া সাততারা হোটেলে বসবে অনুষ্ঠান। হাজির থাকবেন গাঙ্গুলি পরিবারের ঘনিষ্ঠরা, উপস্থিত থাকবেন স্নেহাশিসের বন্ধুরা।
বেহালার বিখ্যাত মঙ্গলচণ্ডী ভবনে বিয়ে হচ্ছে না স্নেহাশিসের। বরং যে ফ্ল্যাটে অর্পিতাকে নিয়ে থাকেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সেখানেই বসবে বিয়ের ঘরোয়া আসর। সই-সাবুদ করে রবিবাসরীয় দুপুরে হবে বিয়ে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য সৌরভের মা নিরুপমা দেবীও স্নেহাশিসের বিয়েতে যোগ দিতে পারবেন না।
জানা গিয়েছে, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়ে রেজিস্ট্রিতে সই করবেন সঞ্জয় দাস। শালিনী বিশ্বাস স্নেহাশিসের হবু স্ত্রীয়ের সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করবেন। স্নেহাশিসের মতো এটা অর্পিতারও দ্বিতীয় বিয়ে। এই সুন্দরী আগে বিয়ে করেছিলেন অজন্তা ফুটওয়ারের মালিককে। টেকেনি দাম্পত্য়। স্নেহাশিসের হাত ধরে নতুন শুরু করছেন।
স্নেহাশিস-অর্পিতার রিসেপশনের আমন্ত্রণ পত্রে আরএসভিপি হিসাবে থাকছে সৌরভ ও ডোনার নাম ও ফোন নম্বর। সুতরাং তাঁদের রিসেপশনের দায়িত্বে ভাই এবং ভাইবউ থাকছেন তা স্পষ্ট। জেঠুর বিয়েতে সানা কি আসবেন লন্ডন থেকে? সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩ সালেই স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মোম। তিনি FIR-ও দায়ের করেন। এরপরে স্নেহাশিস মোমের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ বাবদ মোটা টাকা (শোনা যায় ৫ কোটি) এবং একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন স্নেহাশিস।
CAB-র সভাপতি পদে রয়েছেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, এর আগে সচিব পদেও তিনি ছিলেন। একসময় তিনিও চুটিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। দাদা স্নেহাশিসের হাত ধরেই ক্রিকেট জীবনে পা রেখেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ক্রিকেট খেলার সময় স্নেহাশিসের হাত ধরে বহু ম্যাচ জিতেছে বাংলার ক্রিকেট দল। তবে ১৯৯০ সালে তিনি চোট পাওয়ায় রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সৌরভ, সেবার বাংলা চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। পরবর্তী সময় CAB- প্রশাসক হিসাবে তাঁর হাত ধরে ইডেন, গ্যালরি, ক্লাব হাউস সবকিছুরই অনেক উন্নতি হয়েছে।