যাঁরা ৯০ এর দশকের ছেলে মেয়ে তাঁদের কাছে চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডটা যেমন আবেগের ওপর নাম, তেমনি কেকের ইয়ারো দোস্তি গানটিকে নিয়ে আছে আলাদাই ইমোশন। আর এই দুটো গানকে যে কখনও মিশিয়ে মেডলি বানিয়ে গাওয়া যেতে পারে সেটা খালি ভেবে নয় করে দেখিয়েছিলেন সৌরেন্দ্র সৌম্যজিৎ। আর এদিন তাঁরা ২০২৪ এর বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের সেই অনুষ্ঠানের এই পারফর্মেন্সের ঝলক পোস্ট করে তাক লাগালেন।
আরও পড়ুন: বারান্দার বাইরে জড়ো হয়েছে কুয়াশা, ছুঁয়ে দেখেই মেঘ খাওয়ার আবদার ইউভানের! বলল, 'এখনই অর্ডার করো'
কী ঘটেছে?
এদিন সৌরেন্দ্র সৌম্যজিৎ জুটি তাঁদের ফেসবুকের পেজে জে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে অল ব্ল্যাক লুকে দাঁড়িয়ে আছেন চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং লেসলি লুইস অর্থাৎ ইয়ারো দোস্তি গানটির কম্পোজার। তাঁরা দুজন মিলে ইয়ারো দোস্তি এবং চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের হিট গান বন্ধু তোমায় গাইছেন। গোটা অডিয়েন্সে জ্বলছে ফোনের ফ্ল্যাশলাইট।
এই পারফরমেন্সের ভিডিয়ো পোস্ট করে সৌরেন্দ্র সৌম্যজিৎ লেখেন, 'যে কোলাবোরেশন আপনরা চান নি সেটাই জানতেন না। কিন্তু জরুরি ছিল। আমাদের বন্ধুদের জন্য আমাদের যে ভালোবাসা আছে, তাঁদের সঙ্গে যে টান আছে আমাদের যা আমরা গোটা জীবন ধরে উপভোগ করি সেই সম্পর্কটাকে যে দুটো গান তুলে ধরে। ২০২৪ সালের বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের ইয়ারো দোস্তি এবং বন্ধু তোমায় গান দুটোর পারফরমেন্সের ভিডিয়ো আনলেন। গাইছেন লেসলি লুইস এবং অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।' এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো এই কনসার্টটি নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
কে কী বলছেন?
এই পারফরমেন্সের ঝলক দেখে অভিভূত হয়েছেন নেটিজেনরা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'বাহ্! আবেগে ভাসলাম। খুব ভালো লাগল।' আরেকজন লেখেন, 'ক্লাসরুমে বেঞ্চিতে কান ধরে আমাদের বেয়াদব স্কুলবেলা, টিফিনের ঝালমুড়ি, ভাগাভাগি লাঞ্চবক্স, বহেমিয়ান বিকেল, প্রথম প্রেম, কখনও না পাঠানো চিঠিগুলো, আরও যা কিছু অবাধ্য যাপন ওরাই তোর আমার বন্ধুত্বের কালেইডোস্কোপ।কিন্তু তারপর এল সেই প্রচন্ড ঝড়ে এলোমেলো দিন, তোকে নিথর দেখা- সেই যে না বলে চলে গেলি আর কখনও ছোঁয়াই হল না তোকে, তারাদের দেশে আলো হয়ে থেকে গেল আমাদের বন্ধুবেলা।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, '৯০ দশকের ম্যাজিক।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'মুগ্ধ হয়ে শুনলাম।'
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বছর পার, ইরফানের মৃত্যুশোকে আচ্ছন্ন হয়েই স্বামীকে নিয়ে বই লিখছেন সুতপা! সিনেমাও বানাবেন?