ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থার ঘটনায় এবার বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যাহার করা হল যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত খ্যাতনামা কোরিওগ্রাফার জনি মাস্টারের জাতীয় পুরস্কার। প্রসঙ্গত দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং বলিউড দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই কোরিওগ্রাফার হিসাবে বেশ সুপরিচিত নাম জনি মাস্টার। যাঁর শাইক জনি বাশা।
এই মুহূর্তে ধর্ষণের অভিযোগে জেলবন্দি রয়েছেন কোরিওগ্রাফার জনি মাস্টার। প্রসঙ্গত, 'তিরুচিত্রম্বলাম' ছবির গান ‘মেঘম করুককথা’র জন্য সেরা কোরিওগ্রাফার হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। যদিও এই গানের আরও এক কোরিয়াগ্রাফার সতীশ কৃষ্ণনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান জনি মাস্টার। শুক্রবার, কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেল বিবৃতি দিয়ে জানায়, এই জাতীয় পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেলের উপ-পরিচালক ইন্দ্রাণী বোসের স্বাক্ষরিত চিঠিতে লেখা রয়েছে: ‘অভিযোগের গুরুতরতা এবং বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের (তিরুচিত্রম্বলম ছবির জন্য) সেরা কোরিওগ্রাফির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শাইক জনি বাশার থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন-'বহুরূপী'তে ধরা দেবেন ‘পরী’ হয়ে, তার আগে ক্যাটরিনার সঙ্গে কী করছেন ঋতাভরী?
শুধু তাই নয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেল আগামী ৮ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য জানি মাস্টারকে দেওয়া আমন্ত্রণও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ঘটনাক্রমে, জানিকে এই সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল যাতে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। তবে এখন কেন্দ্রের তরফে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ায় তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে আদালতে কী সিদ্ধান্ত হয় সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, জানি মাস্টারকে গত ১৯সেপ্টেম্বর পুলিশ গোয়া থেকে গ্রেফাতর করে। তাঁকে হায়দরাবাদে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে সেখানকার আদালতে হাজির করা হলে তাঁর ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়।
জনি মাস্টারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তাঁর সহকারী কোরিওগ্রাফার। অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানান, তিনি জনি মাস্টারের সঙ্গে ২০২০ সালে একটা কাজের জন্য মুম্বই সফরের সময় তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হন। আর এই যৌন হয়রানি অব্যাহত ছিল, জনি এই বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাঁকে হুমকিও দিয়েছিলেন।
ওই মহিলা কোরিওগ্রাফারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২)(n), ৫০৬, ৩২৩ ধারায় মামলা দায়ের করে। এবিষয়ে অভিযোগকারিণীর বয়ান রেকর্ড করার পরে পুলিশ জানতে পারে ঘটনায় সময় অভিযোগকারিণী কোরিওগ্রাফার একজন নাবালিকা ছিলেন। তাই এক্ষেত্রে POCSO আইন, ২০১২-এর একটি ধারাও এই মামলায় যুক্ত করা হয়।