শোভন আর বৈশাখী জুটি নিয়ে মাতামাতি চলছিল পুজোর আগে থাকেই। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের হয়ে ফোটোশ্যুটে সামিল হন তাঁরা। সেখানে একে-অপরের কী ভালো লাগে, কী খারাপ লাগে, একসঙ্গে বাড়িতে কী করে সময় কাটান, পুজোয় কী করবেন-র মতো নানা ব্যক্তিগত কথা ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। তবে দশমীর সন্ধ্যায় কার্যত বোমা ফাটালেন। প্রকাশ্যেই বৈশাখীর সিঁথিতে পরিয়ে দিলেন সিঁদুর।
এরপরেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানা জল্পনা। একটা অংশের মনে প্রশ্ন, সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া মানে কি তবে হিন্দু মতে বিয়ে করলেন শোভন-বৈশাখী? এদিন নীল পোশাকে নিজেদের সাজিয়েছিলেন শোভন আর বৈশাখী। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রথমে বৈশাখীর গালে সিঁদুর লাগিয়ে দিচ্ছেন শোভন। আর তারপর মাথা নুইয়ে দেন বৈশাখী। আর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন।
এই নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শোভনের শ্বশুর দুলাল দাস। আলাদা থাকলেও শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের এথনও ডিভোর্স হয়নি। এদিকে আইনত স্বামী মনোজিতের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়নি বৈশাখীরও। এই সময় ডিজিটালএই বিষয়ে দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কারও কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিলেই কি বিয়ে হয়ে যায়। ওঁরা কি স্বামী -স্ত্রী হয়ে গেল এতে! এই ধরনের মেয়েদের আর কী হবে!’ তিনি আরও বলেন, ‘এই নিয়ে যা পদক্ষেপ নেওয়ার মেয়ে (রত্না চট্টোপাধ্যায়) নেবে। ওঁর কোনও পরামর্শের দরকার হচ্ছে না।’
প্রথমে মনে করা হয়েছিল নেটপাড়ায় যে ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তা ফেক। কিন্তু পরে বৈশাখী নিজেই জানান, না ছবি আসল। শোভন সত্যি আমার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছে।