দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে শোভন-বৈশাখী জুটির নাচের ভিডিয়ো। ‘তা তা থৈ থৈ’ নাচ থেকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবুও থেমে নেই শোভন-বৈশাখীর ভালোবাসার কাহিনি নিয়ে চর্চা। আর সেই চর্চার রসদও জুগিয়ে চলেছেন এই প্রেমিক যুগল। শোভন-বৈশাখীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হোক বা ব্যক্তিগত সমীকরণ, সবই থেকেছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি এক চ্যানেলের পুজো স্পেশ্যাল সাক্ষাত্কারে নিজেদের সম্পর্কের অনেক অজানা তথ্য সামনে এনেছেন জুটি। বৈশাখীর কথায়, ‘নয় নয় করে ১৩ বছর হয়ে গেল আমাদের সম্পর্কের’। খোলাখুলি অন্তাক্ষরী খেলতে খেলতে শোভন-বান্ধধীর স্বীকারোক্তি, ‘আমার চোখে তো সকলই শোভন’।
৫৭ বছর বয়সী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমে কীভাবে পড়লেন? প্রশ্ন শুনে বৈশাখী বলেন, 'শোভনকে মানুষ হিসাবে আমি কদর করেছি। ওকে সম্মান করেছি। শোভন বাইরে প্রচণ্ড দাপুটে মেয়র, কিন্তু যখন বাড়ি এসে আমার সঙ্গে আলোচনা হত তখন সেটা আমার কোনওদিন মনে হয়নি যে ও আমার চেয়ে বয়সে কতটা বড়'।
'প্রকৃতপক্ষে যদি কেউ সঙ্গী হয়, প্রকৃত অর্থে যদি সম্পর্কের মর্যাদা দেয়, তাহলে আমি মনে করি সেটাই আবেগের সঠিক বহিঃপ্রকাশ। সেটাই আসল রোম্যান্স', জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেম এসে থাকলে তা জীবনে ছেড়ে যায় না’। সঙ্গীর সমর্থনে গলা ফাটিয়ে বৈশাখী দেবীর যুক্তি, ‘আমরা জীবনে নিশ্চয় অন্য কারুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, কিন্তু প্রেম ছিল না… থাকলে তা যেত না’।
কেন ভাঙবে না তাঁদের প্রেম? সেই যুক্তিও দিলেন দুজনে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান-'শোভন আমাকে একটা কথা বলেছিল, আমি যার হাত ধরি তার হাত ছাড়ি না'। পাশ থেকে প্রাক্তন মেয়র যোগ করেন- ‘আমি যাকে বুক দেখাই, তাঁকে পিঠ দেখাই না’। এই মন্তব্য শুনে হেসেখুন নেটিজেনরা। অনেকেরই প্রশ্ন, ‘তবে স্ত্রীর ক্ষেত্রে কি শোভনবাবুর মানসিকতা পালটে যায়?’, কেউ কেউ কটাক্ষ করে লেখেন- কারুর হাত না ছাড়েন না যখন, তবে রত্না দেবীর কি হাত নেই?
‘যাকে বুক দেখাই, তাকে পিঠ দেখাই না’, মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ট্রোলড হচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও সেই নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তাঁর, তিনি দিব্বি ডুবে আছেন প্রেম সাগরে!