ভারতীয় সংগীতশিল্পী এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যম আজ বেঁচে নেই। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭৪ বছর বয়সে কার্ডিয়াক এরেস্টে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর আগে একমাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সংগীত শিল্পীর মৃত্যু যে সংগীত জগতে একটি অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি প্রয়াত গায়কের কন্ঠ পুনরায় ব্যবহার করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। AI অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গায়কের কন্ঠ ব্যবহার করার অনুমতি চাওয়া হলে যা একেবারে নস্যাৎ করে দেন পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে সংগীত শিল্পীর পুত্র।
আরও পড়ুন: যেন মায়ের জেরক্স কপি! লোক বলে ঠোঁটকাটা, ৪৩ বছরেও নায়িক ডানা-কাটা পরী, বলুন তো কে
আরও পড়ুন: ইয়ালিনির জন্মদিনে রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতে আসছেন ইসকনের সন্ন্যাসীরা, হবে ‘পুষ্প অভিষেক’
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যমের ছেলে এসপি চরণ বলেন, অনেক সুরকার বাবার ভয়েস পুনরায় ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছিলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমতা ব্যবহার করে, কিন্তু প্রত্যেকটি অনুরোধ আমি অস্বীকার করে দিই। আমি বিশ্বাস করি, আমার বাবা একজন আইকন ছিলেন, যার প্রতিস্থাপন হয় না।
এসপি চরণ বলেন, ‘আমি বা আমার পরিবার কেউই চাই না আমার বাবার কন্ঠ অন্যভাবে ব্যবহার করা হোক। তিনি যেখানে আছেন, তাঁকে সেখানেই থাকতে দাও। একজন গায়ক একটি গান যে আবেগ দিয়ে গেয়ে থাকেন, সেই গান কখনওই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা তৈরি করা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন: কেন কখনওই স্ত্রী ও মেয়েকে ছবির সেটে নিয়ে যেতে চাইতেন না? অনন্যার সামনে মুখ খুললেন চাঙ্কি
আরও পড়ুন: রেড কার্পেটে শ্রদ্ধার নয়া অবতারে মুগ্ধ ভক্তরা! নায়িকার পোশাকের দাম জানেন? শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
রজনীকান্তের সিনেমা ভেট্টাইয়ের নির্মাতাদের খোঁচা দিয়ে সংগীত শিল্পীর পুত্র বলেন, ‘মনসিলায়ো একটি দুর্দান্ত গান হতে পারে কিন্তু এই গানটির কোনও অনুভূতি নেই। আজ যদি এসপিবি বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনিও গানটি শুনে প্রত্যাখ্যান করতেন। একজন গায়ক গানটি গাইতে চান কিনা সেটা বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তাঁর, AI সেই সুযোগ কেড়ে নেয় গায়কদের থেকে।’