সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্তের সময় ‘পান থেকে চুন’ খসলেই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তারকাদের। কখনও কখনও অকারণেই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে থাকেন তারকারা।তবে সেই ট্রোলিং বা বুলিং যখন ব্যক্তিগত জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার বদলে ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে আসতে থাকে পর পর অশ্লীল মেসেজ- তখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর উপায় কী? বাধ্য হয়েই বাংলা হাই কমিশনারের দ্বারস্থ হলেন টলি নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের কয়েকটি নম্বর থেকে অশ্লীল মেসেজ আসছিল শ্রাবন্তীর ফোনে। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো সেই সব মেসেজে যে শুধু শ্রাবন্তীকেই আক্রমণ করা হয়েছে তা নয়, নায়িকার দাবি ভারতকেও গালমন্দ করা হয়েছে। যা কোনওভাবেই সহ্য করতে পারেননি নায়িকা। শুরুর দিকে অবশ্য সেই স্টকারদের পাত্তা দিতে চাননি শ্রাবন্তী। নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন, কিন্তু একাধিক নম্বর ব্লক করলেও নিত্য নতুন নম্বর থেকে অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়ে হেনস্তা করবার চেষ্টা করা হচ্ছে শ্রাবন্তীকে। তাই বাধ্য হয়েই এবার অভিযোগের পথে হাঁটলেন অভিনেত্রী।
মূলত স্বামী রোশন সিংয়ের কথা শুনেই অভিযোগ জানানো সিদ্ধান্ত নেন শ্রাবন্তী। একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হয়ত অন্যরাও এটা থেকে শিক্ষা নেবে জানালেন নায়িকা। এই প্রসঙ্গে জি চব্বিশ ঘন্টাকে অভিনেত্রী বলেন, ‘যাঁরা এটা করছেন, তাঁদের বাড়িতেও তো মা-বোন আছে। একটা মেয়েকে কীভাবে অপমান করতে পারে? যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে পরিচিত লোকজন আছেন, তাঁদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের হাই কমিশনে অভিযোগ করি। কারণ, অন্যায় দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করাটাও তো অপরাধ'।
এমনতি শ্রাবন্তীর ওপার বাংলাতেও নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় তৈরি শিকারি ছবিতে অভিনয় করে ওপার বাংলার মানুষ মন জিতে নিয়েছিলেন টলিগঞ্জের এই সুন্দরী নায়িকা। সম্প্রতি ‘বিক্ষোভ’ বলে একটি বাংলাদেশের ছবিতেও কাজ করছেন নায়িকা। করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত বন্ধ রয়েছে ছবির শেষ পর্বের শ্যুটিংয়ের কাজ।
উল্লেখ্য মে মাসে মাদার্স ডে উপলক্ষ্যে ছেলে ঝিনুকের জন্য ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছিলেন শ্রাবন্তী। সেই পোস্টে বেশ কিছু বিরূপ ও অশ্লীল মন্তব্যের পর থেকেই ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট বক্সে তালাচাবি দিয়ে দিয়েছেন শ্রাবন্তী। এখন শুধু তারাই শ্রাবন্তীর পোস্টে মন্তব্য করতে পারেন যাঁদের নায়িকা নিজে ইনস্টায় ফলো করেন।