দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মরিয়া শ্রাবন্তীর তৃতীয় স্বামী রোশন সিং। গত বছর দুর্গাপুজোর সময় থেকে এক ছাদের তলায় থাকেন না রোশন-শ্রাবন্তী। কিন্তু ডিভোর্স চান না রোশন, বরং স্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে সংসার পাততে চান। এই আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও রয়েছেন তিনি। রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’ অর্থাত্ বৈবাহিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ধারায় মামলা করেছেন রোশন সিং। আজ, বুধবার শিয়ালদহ কোর্টে এই মামলার শুনানির দিন নির্দিষ্ট ছিল। সমনও গ্রহণ করেছিলেন শ্রাবন্তী, অথচ আজ আদালত চত্বরে হাজির হলেন না নায়িকা। এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রাবন্তীর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলকে ভুল সমন পাঠানো হয়েছিল। সেই কারণেই আদালতের নির্ধারিত দিনে সেখানে এসে উপস্থিত হননি অভিনেত্রী।
এদিন শ্রাবন্তীর আইনজীবী আদালতের কাছে মামলা নতুন একটি তারিখ প্রার্থনা করেন, পাশাপাশি তাঁর মক্কেলকে নতুন সমন পাঠানোর আবেদনও জানানো হয়। পরবর্তী শুনানির দিন দুই পক্ষের বক্তব্য শোনবার পরই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে মামলার প্রক্রিয়া।
শ্রাবন্তীর ভাঙা সম্পর্কের কথা কারুর অজানা নয়। রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন, তবে সুখের ছিল সেই সম্পর্ক তেমনটা বলা যাবে না। দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর ২০১৬ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের। সেই বছরই মডেল কিষাণ বিরাজকে বিয়ে করেন নায়িকা। কিন্তু এক বছর পরেই আলাদা হয় এই জুটির পথ। অবশেষে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের। এর মাস কয়েকের মধ্যেই রোশন সিং-কে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এখন শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নাকি অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছেন শ্রাবন্তী।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও রোশনের বক্তব্য,'আমি তো বিয়ে করিনি এক বছরের জন্য, আমার তো এমন ভাবনা নয়, যে আমি বিয়ে করে ছেড়ে দেব। ও না বুঝুক, আমাকে বুঝতে হবে’। সমালোচকরা অবশ্য এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রোশনকেও, তাঁদের মতে খোরপোশের চাপ থেকে মুক্তি পেতে রোশন এই পদক্ষেপ করেছেন। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছেন রোশন।