একটানা ১৫দিন ধরে চলছিল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। অবশেষে শনিবার ধর্মতলার অনশন মঞ্চে হাজির হন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। এরই মধ্যে অনশন মঞ্চে বসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যসচিব। তিনি স্পিকারে ফোন দিলে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
জানা যাচ্ছে, এদিন ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের পাশে আছি। আমি আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। এছাড়া আপনারা নির্বাচন চেয়েছিলেন, বলেছি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে অবশ্যই সেটাও হবে। আপনারা আমাকে ৩-৪ মাস সময় দিন, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। মানুষ আপনাদের উপর নির্ভরশীল কোথায় যাবে? আমি দিদি হিসাবে অনুরোধ করছি কাজে ফিরুন। ডাক্তারদের দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না। তৈরি হতে হয়। দয়া করে অনশন ভেঙে কাজে যোগ দিন।’
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা ছাড়াও, জানা যাচ্ছে আগামী সোমবার বিকেল ৫ টায় নবান্নে বৈঠকের জন্য সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে ১০ জনের বেশি প্রতিনিধি যেন না আনা হয়। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হওয়ার ঠিক পরপরই ফেসবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখা লেখেন, ‘পিসি ফোন এসেছে শুনলাম, কী অদ্ভুত! উনি দাবিগুলো কী জানতেনই না, মানে সিরিয়াসলি!’ এখানে 'পিসি' বলতে যে অভিনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে চেয়েছেন, তা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না।
আরও পড়ুন-নাভির মধ্যে জ্বলজ্বল করছে হিরের রিং, প্রিয়াঙ্কার এই নতুন অলঙ্কারের দাম জানেন?
শ্রীলেখার এই পোস্টের নিচে কমেন্ট করতে ছাড়েননি নেটিজেনরাও। একজন কটাক্ষ করে লেখেন, ‘আহা! আসলে পুজোতে লাঠি ঘোরাতে ঘোরাতে দুটো বাড়ি মাথাতেও পড়েছিল তাই মাথায় ছিলনা আর কি’। কারোর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য, ‘উনি শুনে আকাশ থেকে পড়ছেন, তারপর বললেন, কোর্টে কেস চলছে তাই রিক্রুটমেন্ট আটকে আছে। আমার মনে হয় কেস ওঠার আগে যে রিক্রুটমেন্ট করা যায় উনি জানতেন না।’ কারোর কথায়, 'উনি ৬ মাসের শিশু কোন কিছুই জানতে পারেন না, এমনি এমনি সব হয়।' কারোর কথায়, ‘উনি ৬ মাসের শিশু কোন কিছুই জানতে পারেন না, এমনি এমনি সব হয়।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল জুনিয়ররা। বৈঠক শেষে ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেছিলেন, ‘সোমবারের মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রী দাবি না মানেন, তাহলে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।’ আর সেই ধর্মঘটে সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকবেন বলেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।