বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে। আর তা নিয়েই কটাক্ষের সুর ভেসে এল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর তরফ থেকে। মঙ্গলবার সকাল সকাল ‘কবি মমতা’-র লেখা কবিতা পাঠ করলেন তিনি।
ভিডিয়োর শুরুতেই শ্রীলেখাকে বলতে শোনা যায়, ‘কে বলে বাঙালি শুধুই রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে। এই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে পুরস্কৃত হলেন তাঁর নিরলস সাহিত্যচর্চা, তাঁর সাধনার জন্য।’
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ২টো কবিতা পাঠ করেন শ্রীলেখা। প্রথমে পড়লেন ‘এপাং ওপাং ঝপাং’। কবিতা শেষ করে বললেন, ‘এ কবিতার গুঢ় অর্থ আছে। নিশ্চয়ই যাঁরা তাঁকে আকাদেমি পুরস্কার দিয়েছেন সুবিচার করেছেন। আর তারপর পড়েলেন ‘হাম্বা’। বললেন, ‘ওঁর যে কত পশুপ্রেম আছে তা এই কবিতাটায় বোঝা যায়। আমিও তো পশুপ্রেমী…’ আরও পড়ুন: ‘শখের প্রাণ গড়ের মাঠ’! বৃষ্টিভেজা দিনে মনের গোপন ইচ্ছার কথা জানালেন শ্রীলেখা
শ্রীলেখার এই ভিডিয়ো শেয়ার হওয়ার সাথে সাথেই ভাইরাল। একজন কমেন্ট করেছেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ! এতো নোবেল পাওয়ার যোগ্য! আমাকে একটু আগে ইয়েটস (William Butler Yeats) কল করেছিলেন। বললেন ওপরে আলোচনা হচ্ছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘খুব অনুপ্রাণিত হলাম, এবার থেকে আমিও লিখব কবিতা।’ অপরজন লিখলেন, ‘রবি ঠাকুরের চুরি হয়ে যাওয়া নোবেল এর দুক্কু বাঙালি খুব শিগগিরই ভুলে যাবে। কারণ বাংলায় আবার একটা নোবেল আসছে।’
অনেকেরই মত, এত গুরুগম্ভীর মুখ করে হাসাতে একমাত্র শ্রীলেখাই পাড়েন। তাই সাধুবাদ পাওয়া অভিনেত্রীরও প্রাপ্য়। আপাতত সকাল সকাল বেশ মজার মুডে খোশগল্প (নাকি কটাক্ষ বলবেন!) চলছে শ্রীলেখা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়ায়।