রাখঢাক করে কথা বলা কোনওদিনই স্বভাবে নেই শ্রীলেখার। সঙ্গে তিনি জানেন প্রতিবাদ করতে। পথপশুদের উপর অত্যাচার হোক বা শরীর নিয়ে নোংরা আক্রমণ, সামাজিক মাধ্যমে একাধিক সময়ে একাধিক জ্বালাময়ী পোস্ট এসেছে তাঁর থেকে। আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ধর্ষণ ও খুন নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তিনি। কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন তিনি। সঙ্গে বুধবার ১৪ অগস্ট পথে নামবেন যে, সেটাও স্পষ্ট করেছেন।
১৪ অগস্ট বুধবার রাত ১১টার পর বাংলার রাস্তায় রাত জাগতে চলেছেন মহিলারা। জমায়েতের ডাক এসেছে সমাজের নানা স্তর থেকে। এরকমই এক ‘রাত দখলের’ পোস্টার শেয়ার করে অভিনেত্রী ফেসবুকে লিখলেন, ‘আমি থাকছি আর আপনি? #wedemandjustice #rgkarmedicalcollage অনেক হাঁটতে হবে, তাই কমফোর্টেবল থাকতে ভাবছি শর্টস পরে হাঁটব। রেপেবল (ধর্ষণযোগ্য) মনে হবে কি আমাকে?’
এদিকে, যে সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে তার পাশের দেওয়ার ভাঙাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল আরজি কর হাসপাতাল। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগও করা হয়। সেই ইস্যুতেও পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা গত রাতেই। তিনি লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। কী সাহস এদের। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা সেমিনার হল ভেঙে। পশ্চিমবঙ্গ কী কারও বাবার সম্পত্তি নাকি? সবাই ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে না বসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মন্ত্রীদের পদত্যাগ দাবি করুন। বিচার সঠিকভাবে হোক।’
অপর একটি পোস্টে শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, ‘ঢং করা অরাজনৈতিক সুবিধাবাদীদের চিহ্নিত করুন। আরজি কর হাসপাতালে যেটা ঘটেছে সেটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ভুলে যাবেন না। যারা অন্যথা বলছে তারা ওই রেপিসট এর দলের লোক।’
বর্তমানে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের তদন্তভার আদালত তুলে দিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা পুলিশের কাজে যে আদালত তুষ্ট নয়, সেটাও স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। সকলেই চাইছেন, আসল দোষীর শাস্তি হোক।