সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। কারণ প্রায় তিন বছর লাইমলাইট থেকে দূরে থাকার পর অভিনেত্রীর শারীরিক গঠনে মারাত্মক বদল সকলকে চমকে দিয়েছেন। ভাইফোঁটার আগের দিন এক মাচা শো-তে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেই দেখা গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়েছে তাঁর।
এই ঘটনায় অনেকেই যেমন অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করেছেন, অনেকেই পাশেও দাঁড়িয়েছেন। এবার কারুর নাম না করেই স্থূলতা নিয়ে ট্রোলপুলিশদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে রুখে দাঁড়ালেন শ্রীলেখা। পঞ্চাশোর্ধ নায়িকা নিজেও একসময় তন্বী ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চেহারাতেও বদল এসেছে। শরীর-নিয়ে নানা কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকেও।
কারুর নাম না করেই এদিন পরোক্ষে ইন্দ্রাণী হালদারের সমর্থনে মুখ খুললেন শ্রীলেখা। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বহুক্ষেত্রে ডিপ্রেশনেও মানুষ মোটা হয়, আমি জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ। খোঁজ নিয়েছেন কখনও মানুষটা কেমন আছে….. আমি জানি আমি অন্তত নিইনি। অতএব আপনার অবদমিত কোনও বাসনাকে তৃপ্ত করার ইচ্ছায় কাউকে ট্রোল করার আগে বা নিউজ করার আগে ভেবে দেখবেন, কথা দিলাম আমিও দেখব, ইনফ্যাক্ট দেখছিও।’
সেই পোস্টে এক জনৈক লেখেন, সেডেটিভ জাতীয় ওষুধের জন্যও ওজন বৃদ্ধি পায়। জবাবে শ্রীলেখা জানান, তিনি গত ১০-১২ বছর ধরে সেডেটিভ নেন।
বয়স বাড়লেও ছিপছিপে চেহারা ধরে রেখেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই সচেতন তিনি। তাহলে হঠাৎ কী হল তাঁর? গোয়েন্দা গিন্নী নিজেই সেই উত্তর দেন। সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করে তিনি জানান,'পিঠে ব্যথার কারণে আমি একবছর কোনও অনুষ্ঠান করিনি, বাইরে বেরোনো একদম বারণ করেছিল ডাক্তার, জিম তো দূর, কোনওরকম ব্যায়াম করাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওষুধ খেয়ে এখন আগের থেকে কিছুটা ঠিক আছি। ওষুধের কারণে আমার ওজন আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তবে ওজন নিয়ে দয়া করে কেউ সমালোচনা করবেন না। আমি খুব ডিপ্রেসড হয়ে যাব তাহলে, আশা করি সকলেই সেটা বুঝবেন। আমিও তো একজন মানুষ।'
আপতত ক্যামেরার সামনে আসতে আগ্রহী নন তিনি। শরীর সুস্থ হলেই ফের আগের চেহারায় ফিরতে বদ্ধপরিকর তিনি। শীঘ্রই পছন্দের অভিনেত্রীকে ক্য়ামেরার সামনে দেখতে চায় ভক্তরা।