একদিকে যেন রমরমিয়ে চলছে দুর্গোৎসব, তেমনই ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে ৭ ডাক্তার। ইতিমধ্যে ১০০ ঘণ্টার ওপরে অনশন করে ফেলেছেন তাঁরা। এই অবস্থায়, বাড়িতে থাকলেও, অনেক সাধারণ মানুষের গলা দিয়ে খাবার নামছে না। একই অবস্থা অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের।
শ্রীলেখা সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখলেন, ‘কাল অনশন মঞ্চ থেকে ফেরার পর ‘ মাসি breakfast দাও ‘ বলতেও কুন্ঠা বোধ করছি আর ওদের কথা ভাবছি। আজকের চে গেভারা তো বটেই ওরা।’ তাতে এক নেট-নাগরিক মন্তব্য করেছেন, ‘দেখেছ কাল ওদের কী অবস্থা, চোখে জল চলে আসে দেখলে। সকাল পর্যন্ত ছিলাম। শরীর দিচ্ছে না, ১০০ ঘণ্টার বেশি চলছে অনশন, মুখের হাসিটা কিন্তু অমলিন, কী শক্তি আর ধৈর্যের নিদর্শন! আর অন্যদিকে দেখো, শুধু ইগো-ইগো। অকারণে শুধু হ্যারাস করার জন্য কাল বৈঠকে ডেকে নিয়ে গেল জুনিয়র ডক্টরদের।’
আরও পড়ুন: ‘বাচ্চার জন্য আমার কোন ডায়াপার…’, শ্রেয়া ফোন লাগায় সোজা সুনিধিকে, তারপর?
তবে শ্রীলেখার এই পোস্টে একাধিক মানুষ দিয়েছেন হাসির রিয়্যাকশন। যার স্ক্রিনশট দিয়ে অভিনেত্রী মন্তব্য করেন, ‘যারা হা হা দিলেন, তারা একবার গিয়ে ধর্মতলা থেকে ঘুরে আসুন। আমাদের মতো আপনাদেরও মনে হতে পারে। কে জানে নাও হতে পারে।’
নেটিজেনরাও শ্রীলেখার গলার সুরেই গলা মেলালেন। সঞ্চারি মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলা লিখলেন, ‘এখানেও হাসি পায় লোকজনের??? জানি কেউই হয়তো না খেয়ে বসে থাকতে পারবো না। কারণ আমাদের কাজ করতে হবে। অবস্থান মঞ্চে যেতে আসতে যে শক্তিটুকু লাগবে, সেটা খাবার থেকেই আসবে। কিন্তু তা বলে মানুষকে এভাবে ছোট করে কি আনন্দ পান আপনারা?’
আরও পড়ুন: পুজোর ব্যবসায় এগিয়ে কে? সৃজিতের উলটো সুর বিখ্যাত টলি-প্রযোজকের, টেক্কার আগে রাখলেন…
এদিকে, ত্রিধারা পুজো মণ্ডপের সামনে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তোলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কিছু প্রতিবাদীদের। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাকি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে বাকি ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে পেশ করার কথা। এই আবহে লালবাজারের সামনে গতরাত থেকে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: ‘সহ্য় করা কঠিন…’! স্ত্রী-সন্তান না থাকায় ‘একা’ লাগত, পুরনো প্রেমিকা সিমিকে জানান রতন টাটা
সঙ্গে, ষষ্ঠীর দিন বৈঠকের জন্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়েছিল সরকার। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেই কোনও কোনও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কেঁদে ফেলেন। তো কেউ ক্ষোভে। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তাই পাওয়া যায়নি।
তাঁরা জানান, ‘ওরা বলছেন, এখনই নির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। বৈঠকে বলা হল, পুজো কাটিয়ে নেওয়া হোক। আমাদের বলা হচ্ছিল, আমরা যেন আমরণ অনশন তুলে নিতে বলি গিয়ে। আমরা বলেছি আপনারা অনশন মঞ্চে এসে অনুরোধ করুন।’