মাঝে বিনোদিনী নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও এখন বিন্দাস আছেন শ্রীলেখা। কাজ থেকে ব্যক্তিগত জীবনের টুকরো ছবি তাঁকে হামেশাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে দেখা যায়। জীবনে লড়াইয়ের কমতি নেই। বরং চাপ যেন দিন দিন বাড়ছে। তবুও তাঁর ত্বকের জেল্লা এতটুকু কমেনি এখনও! তিনি যেন এই ৫০ এর কোটায় দাঁড়িয়েও পাশের বাড়ির কিশোরীটি। চিররঙিন হয়ে আছেন। এবার তার কারণ প্রকাশ্যে আনলেন। জানালেন অন্যান্য চাপ থাকলেও একটি চাপ তাঁর নেই, আর সেটাই হল এই ঔজ্জ্বল্যের গোপন রহস্য!
অন্যান্য দিনের মতো বুধবার বিকেলেও অভিনেত্রীকে তাঁর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়। কিন্তু একি! ছবিতে তাঁকে একদম স্কুলবেলার ছোট্ট মেয়েটির মতো লাগছে যেন। ছবিতে তাঁকে দুটো বেণী বাঁধা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। পরনে আছে পেস্তা রঙের পোশাক। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছেন অভিনেত্রী।
এই ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, 'এখনও মনের দিক দিয়ে স্কুল গার্ল হয়েই আছি। কখনও কখনও মনে হয় আমি যেন আমার মেয়ে মাইয়ার থেকেও ছোট।' এতদূর লেখার পরই খোঁচা দেন তিনি। লেখেন, 'আমি কিন্তু বয়স লুকাই না।' সঙ্গে লেখেন আরও একটি কথা। আসলে এখন চারদিক জুড়ে কেবলই ইডি, সিবিআইয়ের ডাক, আলোচনা। কখন কে ডাক পাচ্ছে বোঝা মুশকিল! সেই কথাই টেনে এনে নাম না করেই বনিকে খোঁচা দিয়ে লেখেন, 'চাপলেস জীবনে নো ইডি, নো সিবিআই, নো অন্যের পয়সায় ফুটানি!'
অবশ্য এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও শ্রীলেখা জানিয়েছেন তিনি কখনই প্রয়োজনের থেকে বেশি টাকা খরচ করেন না। গা ভাসান না অকারণ বিলাসিতায়। হ্যাঁ, এটা ঠিক তিনি হয়তো অনেক উপার্জন করেন না, কিন্তু যতটা করেন সেটুকু সঞ্চয় করেন। তাঁর জীবনের গোটাটাই মেয়ে, কাজ আর সারমেয়দের নিয়ে।