হুগলির সাহাগঞ্জে তৃণমূলের জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বুধবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন একঝাঁক টলি তারকা। সেই তালিকায় যে কয়জনের নাম রয়েছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সায়নী ঘোষ। সাম্প্রতিক সময়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন সায়নী। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকযুদ্ধ থেকে মুকুল রায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো। যশ দাশগুপ্তর পাশাপাশি সায়নীরও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল… তবে সকলকে চমকে দিয়ে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন বামমনস্ক হিসাবেই পরিচিত সায়নী।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন সায়নী। অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর রিলিজ নিয়ে জটিলতা দেখা যাওয়ায় প্রকাশ্য সভা থেকে রাজ্যের শাসক দলকে আ্ক্রমণ শানিয়েছিলেন সায়নী। তবে দু-বছরের ব্যাবধানে বদলে গেল সব হিসেব-নিকেশ! আজ নিজেই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন সায়নী। গোটা ঘটনায় হতাশ শ্রীলেখা মিত্র। তিনিও বামমনস্ক হিসাবেই পরিচিত। এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে হতাশার সুরে শ্রীলেখা লেখেন, ‘এটা আশা করিনি। সায়নী তুইও বিক্রি হয়ে গেলি? খেলতে নামলি? খুব দুর্ভাগ্যজনক’।
শ্রীলেখা আরও লেখেন, ‘আমি আজকাল কেমন একটা হয়ে যাচ্ছি… কিছু ভালো লাগছে না..মানুষকে আর বুঝতে পারছি না’।
গত সপ্তাহেও মুড়ি-মুড়কির মতো তারকাদের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন শ্রীলেখা। ফেসবুকের দেওয়ালে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সেল সেল সেল… সেলেবস (তবে শিল্পী নয়)-দের সেল চলছে’। সেলেবস আর শিল্পী এক নয়, তা নিজের পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন শ্রীলেখা। শিল্পীসত্ত্বা কোনওদিন বিকিয়ে যায় না, সাফ জানালেন শ্রীলেখা।
সায়নীর এক পুরোনো টুইট নিয়ে বিজেপির সঙ্গে নায়িকার ভার্চুয়াল যুদ্ধ শুরু হলে, পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। দিন কয়েক আগেই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মদন মিত্রকে ‘বাঙালির ক্রাশ’ বলে উল্লেখ করেন সায়নী। বোঝা যাচ্ছিল শাসকদলের সঙ্গে বরফ জমাট সম্পর্ক ধীরে ধীরে জল হচ্ছে। আর সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার তৃণমূলে সায়নী।