ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেল বাংলা ছবি। সৌজন্যে আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের ‘ওয়ান্স আপঅন আ টাইম ইন কলকাতা’। তবে শ্রীলেখা মিত্র শহর ছাড়ার পর থেকেই যেন বিতর্ক বাড়ছে। অভিনেত্রীর নিজের হাতে দত্তক দেওয়া সারমেয়-র মৃত্যু নিয়ে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল সব জায়গায়। আর এবার ভেনিসে শ্রীলেখার পোশাক নিয়ে বিতর্ক হল। যেই দলের হয়ে অভিনেত্রী প্রচারে যান ভোটের সময়, সবসময় যে দলের পাশে থাকেন, এবার তারাই তাঁর বিপক্ষে কথা বলল।
৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলেখা ভেনিসের রেড কার্পেটে হেঁটেছেন স্বচ্ছ সবুজ শিফন শাড়ি পরে। সঙ্গে ছিল ডাপ কাট স্লিভলেস ব্লাউজ। খোলা চুল, হাল্কা গয়না, ছোট্ট টিপ আর লিপস্টিকে নিজেকে ফ্রেম বন্দি করে একাধিক ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সেই ছবিতেও ‘অভদ্রতা’ খুঁজে পেলেন এক নেটনাগরিক। সে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখে ফেললেন দু'-চার লাইন। সমালোচনা করলনে শ্রীলেখার পোশাকের। তবে ছেড়ে কথা বলার পাত্রী শ্রীলেখাও নন। তিনি আবার সেই পোস্ট নিজের ওয়ালে শেয়ার করে লিখলেন, নড়ে গেছে তাঁর ‘বাম-বিশ্বাস’।
কস্তুরী রাকা নামের সেই মহিলা লিখেছেন, ‘এই ছবিটি ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের । আমাদের বাংলার ছায়াছবি সেখানে সুযোগ পেয়েছে তার জন্য আমি অবশ্যই গর্বিত। তবে এই ছবিতে সকলকে একটা বিষয় লক্ষ্য করতে বলবো। একজন ছাড়া, অন্যরা বেশিরভাগ বিদেশী হলেও শরীরের অধিকাংশ ঢাকা ভদ্র পোশাক পরেছে। আর একজন শাড়ি পরলেও ব্লাউজের বেশীরভাগই উন্মুক্ত। শাড়ি পরলেই যে ভদ্র পোশাক পরা হয় তা কখনোই নয়। বরঞ্চ এই ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে বিদেশীরা অনেক ভদ্র পোশাক পরেছে। শেষে বলব এই ছবিটি আমার প্রোফাইলে পোস্ট করার জন্য দুঃখিত ও লজ্জিত। এই মহিলার আরও অনেক ছবি ফেসবুকে দেখা যায়, সেই ছবি তো পোস্ট করতেই পারব না।’
শ্রীলেখার কথা অনুযায়ী তিনি বেশ আঘাত পেয়েছেন এরকম পোস্ট দেখে। বলা ভালো এরকম মানসিকতার পরিচয় দেখে। লিখেছেন, ‘মুগ্ধতা বাড়ছে আমার দলের প্রতি। এরা নাকি লিবারাল! মানুষের কাজের থেকে এবার তার পোশাক নিয়ে….'তথাকথিত শিক্ষিত মহিলার থেকে'!!! কেয়া বাত।’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি একসময় বলতাম, ‘লেফট ইজ অলওয়েজ রাইট।’ আমার বিশ্বাসের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।’’
এই কিছুদিন আগেও তাঁর দত্তক দেওয়া সারমেয়র মৃত্যু ঘটলে প্রকাশ্যে শশাঙ্ককর নিন্দার পাশাপাশি ‘রেড ভলেন্টিয়ার্স’র নাম বারবার নিজের পোস্টে নিয়ে এসেছিলেন শ্রীলেখা। সেসময়ও তাঁর ওপর চটেছিলেন বাম-সমর্থকরা। ফের একবার বামেদের এভাবে ‘সমালোচনা’ করা নিয়ে জল কতদূর গড়ায় তা সময়ই বলবে। যদিও কিছুদিন আগেই শ্রীলেখা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যখন সবাই বিজেপি বা তৃণমূলে গিয়েছিল, এই শ্রীলেখাই গিয়েছিল প্রচারে। আমি কাওকে কৈফিয়ত দেব না।’