ভারত-পাক উত্তেজনা যত দিন যাচ্ছে তত যেন চরমে উঠছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখায় কখনো গোলাগুলি, আবার কখনো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পাক-ড্রোন হামলা, সব মিলিয়ে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি ক্রমশ। সঙ্গে একাধিক সাধারণ নাগরিক, সেনা জওয়ানদের প্রাণনাশের খবরও মিলছে। সেরকমই একটি খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে, যুদ্ধের ‘বিরোধিতা’য় আওয়াজ তুললেন অভিনেত্রী।
পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে শ্রী সত্য সাই জেলার গোরান্টলা মণ্ডলের পুট্টাগুন্ডলাপাল্লে গ্রামের কাল্লি থান্ডা গ্রামের বাসিন্দা মুরলী নায়েক (২৭) নামে এক ভারতীয় সেনা জওয়ান শহীদ হন বৃহস্পতিবার ৮ মে। সেই মৃত্যুসংবাদ ভাগ করে নিয়ে শ্রীলেখা লিখলেন, ‘আমরা আমাদের নিজ নিজ ঘরের আরাম থেকে কথা বলি এবং তাঁদের চূড়ান্ত মূল্য দিতে হয়। একটি তরুণ জীবন খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল… এর জবাব কে দেবে? তাই আমি চিৎকার করে বলব, যুদ্ধ শেষ হোক! মানবতাকে জাগিয়ে তোলো।’
‘সঠিক প্রশ্ন তোলো। যুদ্ধ নিয়ে রোম্যান্টিসাইজ করা বন্ধ হোক। ...এর পরিণতি কখনোই ভালো হতে পারে না। আমি এই নৃশংসতার শিকার সকল পক্ষের জন্য আমর প্রার্থনা। আপনারা ততক্ষণ না হয় আত্মসমালোচনা করুন।’

এদিকে, শনিবার ভারতের ‘অপারেশ সিঁদুর’-এর পাল্টা পাকিস্তান শুরু করল ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস'! এদিন ভোররাতেই ভারতের বড় বড় শহরের দিকে তাক করে নির্লজ্জ পাকিস্তান চার্জ করে মিসাইল ফাতেহ-১। ড্রোন বর্ষণে ভারতের সীমান্ত এলাকায় নিরীহ নাগরিকদের নিশানা করেছে সিন্ধু পারের দেশ। অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের শেলিংয়ে ভারতের অন্তত ১৬ জন নাগরিকের মৃত্যু ঘটে। বেশ কয়েকজন জওয়ানও মারা গিয়েছেন।
৭-৮ মে-র মাঝের গভীর রাতে পাকিস্তান ভারতের ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে ভারত সেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করে এস ৪০০ সুদর্শন চক্র ব্যবহার করে। তবে থামার নাম নিচ্ছে না পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরের ফৌজ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনও সে দেশের কোনো সাধারণ নাগরিকের উপর করা হয়নি কোনো হামলা। বরং, পাকিস্তানের একের পর এক এয়ারস্পেসে ঝোড়ো হামলা চালিয়েছে ভারত।