উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়া থানা এলাকায় ফের উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ও রিলস তৈরির নাম করে এক নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউটিউবার ও তার নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে। সঙ্গে জানা যায় যে, নির্যাতিতার বাবা কলকাতা পুলিশে কর্মরত।
শ্রীলেখা সোমবারএকটি পোস্ট শেয়ার করেন ফেসবুকে। যেখানে এই সংক্রান্ত একটি সংবাদের শিরোনাম রয়েছে আর সেই আরজি কর আন্দোলনের সময়কার ট্যাগলাইন, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়…’!
আর সেই পোস্টটি রি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখলেন, ‘আজকের দিনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বাস্তব! #WestBengalPolice আপনারা কি এখনও চুপ থাকবেন?’

ওই নির্যাতিতার বাড়ি হাড়োয়া থানার মোহনপুর এলাকায়। অভিযোগ, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার নাবালক ছেলে গত কয়েক মাস আগে ওই কিশোরীকে ভিডিয়ো এবং রিলস বানানোর প্রস্তাব দেয়। প্রতিবেশী হওয়ায় কিশোরীর পরিবার প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। ভিডিয়ো বানানোর নাম করে ওই কিশোরীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু এই আপাত নিরীহ ভিডিয়ো তৈরির আড়ালে যে এক ভয়ঙ্কর জাল বিছানো হচ্ছিল, তা বুঝতে পারেনি কিশোরীর পরিবার।
কিশোরির পরিবারের অভিযোগ, ভিডিয়ো বানানোর ফাঁকেই ওই নাবালিকার কিছু গোপন ছবি ও ভিডিয়ো গোপনে তুলে নেওয়া হয়। ওইসব গোপন ছবি ও ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। তবে শেষপর্যন্ত এই নারকীয় অত্যাচারের কথা আর চেপে রাখতে পারেনি নির্যাতিতা। গত শুক্রবার সে গোটা বিষয়টি পরিবারের কাছে জানায়। পরিবারের সদস্যরা আর দেরি না করে হাড়োয়া থানায় ইউটিউবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। আর রবিবার অরবিন্দ মণ্ডল ও তার নাবালক ছেলেকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।