উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে মৃত্যুমিছিল। বন্ধ একাধিক রাস্তা। ভেঙেছে ব্রিজ। ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। শুধু মানুষ নয়, ডুয়ার্সের বন্যা পরিস্থিতির কারণে বন্যপ্রাণীরাও প্রাণ হারিয়েছে। জলের মধ্যে দিন কাটছে হাতি-গণ্ডার-হরিণরা। শনিবার রাতে প্রবল বৃষ্টির পর, রবিবার সকাল থেকেই একের পর এক দুঃসংবাদ আসতে থাকে। তবে উত্তবঙ্গের হাল যখন শোচনীয়, তখন দক্ষিণবঙ্গে ছিল পুজো শেষের আমেজ। রবিবার রাতে ছিল দুর্গা পুজোর কার্নিভাল। যাতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা-সহ ভাগ নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে টলিউডের একঝাঁক তারকারা। সকলে মিলে নাচ-গান করে মাতিয়ে রেখেছিলেন। অবশ্য, সাধারণ মানুষ যে এটা ভালোভাবে নেয়নি, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, সেদিন কার্নিভালে হাজির হওয়া তারকা অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা-জুন মালিয়া-প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী-নুসরত-তৃণা সাহা-রাও পড়েছেন কটাক্ষে।
আর এবার প্রতিবাদে সোচ্চার শ্রীলেখা মিত্র। তিনি ফেসবুকে সোমবারই একটি পোস্ট শেয়ার করে নেন। বরাবরই অভিনেত্রী স্পষ্টবাদী। অবশ্য তাতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কিছু রাজনৈতিক দলের সমর্থনকারীদের চক্ষুশূল তিনি। তবে সেসবে তোয়াক্কা করেন না শ্রীলেক কখনোই। এবারেও যেমন স্পষ্ট লিখলেন, ‘কার্নিভালের ছবি দেখতে দেখতে আনফ্রেন্ড করছি’।
শ্রীলেখা তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘কার্নিভালের ছবি দেখতে দেখতে আনফ্রেন্ড করছি। আমার এদের শিল্পী বলতে ঘেন্না হয়। শিল্পীর মন সেনসিটি হয়। অন্যের কষ্টে মন কেঁদে ওঠে। অন্যায় দেখলে শিল্পী তার প্রতিবাদ করে শিল্পের মাধ্যমে। কিন্তু এরা? ধান্দাবাজ। এসব বলি বলে আমার কাজ নেই। এসব পিছন চাটা গাধাদের মতো হওয়ার চেয়ে, আমি এরকমই থাকতে চাই।’
‘তারপর আমাকে আর কতভাবে বয়কট করবেন ভাবতে থাকুন। মানুষ মরছে, আর এরা নাচছে কাজ আর পয়সার জন্য। ছিঃ ছিঃ।’, আরও লেখেন শ্রীলেখা।