বিতর্ক নিত্য সঙ্গী কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। দু-দিন আগেই মেয়ের জন্মের হাসপাতালের বিল নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তারকা দম্পতি। গত ২রা নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন কাঞ্চনের তৃতীয় স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। সন্তান প্রসবের জন্য নাকি ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বিধায়কের। সেই বিল বিধানসভায় জমা দেওয়ার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতেই লঙ্কাকাণ্ড। আরও পড়ুন-মেয়ের জন্মে ৬ লাখের বিল -বিতর্ক! কাঞ্চন বললেন, ‘জমা দিইনি’, সমর্থন জানিয়ে ট্রোলড কুণাল
তবে সেই সব বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড়দিনে শহর থেকে অনেক দূরে কাঞ্চন-শ্রীময়ী। মেয়ের বয়স এখনও ২ মাস হয়নি, সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে বছর শেষে কলকাতায় মন টিকলো না নবদম্পতির। কংক্রিটের জঙ্গল পেরিয়ে ছুটে গেলেন নিরিবিলিতে। হিমালয়ের কোলে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
বুধবার ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে পতি-পত্নী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন পাহাড়ে ছুটি কাটাচ্ছেন তাঁরা। খুব সম্ভবত সিকিমের পেলিং-এ কাটল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বড়দিন। এইসফরে তাঁদের সঙ্গী পরিবারের দুই সদস্য। মেয়ে কৃষভিকেও এই ভরা শীতে সঙ্গে নিয়ে গেছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
রাত গড়াতেই পাহাড়ের কোলে নেমে আসে অদ্ভূত নিস্তব্ধতা। বন ফায়ার, কেক কাটিং আর নাচাগানায় জমে উঠল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ক্রিসমাস। শীত থেকে বাঁচতে গরম পোশাকে নিজেদের মুড়ে রাখলেন দুজনেই। সেলিব্রেশনের টুকরো ঝলক ইনস্টাগ্রামের পাতায় তুলে ধরেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-‘ডাক্তারবাবুর ফি কেন চার লক্ষ টাকা?' সন্তান-প্রসবের খরচ নিয়ে পালটা জবাব শ্রীময়ীর
ওদিকে কৃষভির জন্মের পাহাড় প্রমাণ বিল প্রসঙ্গে কাঞ্চন ঘরণী কড়া জবাব দিয়েছেন। শ্রীময়ীর কথায়, তাঁর চিকিৎসক অভিজ্ঞ বলেই সন্তান প্রসবে ৪ লক্ষের বিল হয়েছে। তিনি জানান, ‘কার কোন নার্সিংহোমে, সরকারি না বেসরকারি হসপিটালে ডেলিভারি হবে, এটা একান্ত তাদের ব্যক্তিগত মতামত, এই নিয়ে দয়া করে অনধিকার চর্চা আপনারা করবেন না,, আর আমরা কোন অপরাধমূলক কাজ করিনি, তাই আমার একটাই অনুরোধ যারা এই ধরনের কথা বলছেন, তাদেরকে বলব যে প্লিজ অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার, সমালোচনা করার বা চর্চা করার বিষয় রয়েছে কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের কটা বাচ্চা হল বা কোথায় হল বা কত টাকা খরচা হল , কত মাসে হল, সিজার হলো নাকি নরমাল ডেলিভারি হল নাকি, ফর্সেপ হলো, এই ধরনের চর্চা করে নিজেদের শিক্ষার পরিচয়টা আর বাড়াবেন না, সর্বোপরি বলবো এগুলো ছাড়াও সমাজের অনেক বিষয় আছে চর্চা করার, আলোচনা করার,সমালোচনা করার, ওগুলোতে ফোকাস করুন, দয়া করে আমাদের জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না, আমাদের অযথা ভ্যালুয়েবল বানিয়ে দেবেন না, এই পৃথিবীর অনেকেই মা হয়েছেন, তাদের নিজেদের মতো করে, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ীএবং একান্ত ব্যক্তিগতভাবে, নিজেদের পছন্দমত ডাক্তার বা নার্সিংহোমের তালিকায়,তাই আমি কোন বিরল মা নই’।’