কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে পরকীয়া, বিয়ে আর তারপর মা হয়ে সমালোচনার কেন্দ্রে শ্রীময়ী চট্টরাজ। কৃষভির জন্মের পরেও কম বিদ্রুপ হজম করতে হয়নি তারকা দম্পতিকে। কটাক্ষকে পাত্তা দেন না কাঞ্চনের ‘কচি বউ’। কিন্তু এবার প্রশ্নের মুখে তাঁদের সন্তানের জন্মের খরচ। বিধায়ক বর রাজনীতির দুনিয়ায় ক্রমেই কোণঠাসা। কাঞ্চন কন্যার ৬ লাখের বিল নিয়ে বিধানসভায় হইচই কাণ্ড, অগত্য ব্যাট ধরলেন শ্রীময়ী। আরও পড়ুন-‘তুমি যেমন আছো তেমনই থেকো….’, দেবের জন্মদিনে কী উপহার দেবেন ‘কিশোরী’ ইধিকা?
২রা নভেম্বের পার্কস্ট্রিট লাগায়ো নামী বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম হয়েছে কৃষভির। আর হাসপাতালের পাহাড়প্রমাণ সেই বিল ৬ লক্ষ টাকা। যা কাঞ্চন বিধানসভায় জমা দেওয়া যাবে কিনা সেই নিয়ে খোঁজ খবর নিতেই হইচই। নিয়মানুসারে বিধায়কদের মেডিক্যাল বিল বহন করে রাজ্য সরকার। মেডিক্যাল বিলের ক্ষেত্রে কোনও ঊর্ধ্বসীমাও নেই।
তা সত্ত্বেও সন্তান ডেলিভারির বিল ৬ লক্ষ টাকা হওয়ায় অনেকেই ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল বিল ধরিয়েছে ২ লক্ষ টাকা। আর চিকিৎসকের খরচ ৪ লক্ষ টাকা! হ্যাঁ, ৪ লাখ। কাঞ্চন সেই বিল এখনও জমা দেননি বলেই খবর। তবে জমা দেওয়ার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ‘কাটমানি’ টেনে তুমুল বিদ্রুপের মুখে বিধায়ক কাঞ্চন। বাধ্য হয়ে শ্রীময়ী সাফাই দিয়ে বলেন, ‘আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় যেটা বলে, যা দেখেছি এতকাল ধরে,সেটা যে কোন সরকারি কর্মচারীরা এটা রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী হোক, তারা তাদের মেডিকেল পরিষেবা টা পায় এটাই সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় সুবিধা’।
‘ডাক্তারবাবুর ফি কেন চার লক্ষ টাকা?’ এই প্রশ্নের জবাবে কাঞ্চন ঘরণী বলেন, ‘আমি একটা কথা খুব ভালোভাবে জানতে চাই আমি একজন নবীন অভিনেত্রী হিসেবে, আমার যা পারিশ্রমিক হবে, সেটা নিশ্চয়ই একজন বর্ষীয়ান অভিনেতা বা অভিনেত্রীর পারিশ্রমিক হবে না। আর সেই বিষয় নিয়ে, তার কেন বেশি আমার কেন কম, এটা নিয়ে নিশ্চয় আমার কথা বলা শোভা পায় না….. সবাই সবার অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর পারিশ্রমিকটা অর্জন করেন। এটাই এত কাল সব পেশায় হয়ে এসেছে, ঠিক সেরকমই আমার ডাক্তারবাবুর পারিশ্রমিক নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তারা একবার ডাক্তার বাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাটা বিচার করে তারপর প্রশ্ন করুন, আর আরেকটা কথা জানাতে চাই ডাক্তারবাবুর একমাত্র পেশেন্ট কাঞ্চন মল্লিক বা শ্রীময় চট্টরাজ নয়, ডাক্তার বাবু এত বছর ধরে ডাক্তারি করছেন এবং এত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন এত সিনিয়র ডাক্তারের যে সমস্ত সুপরিচিত পেশেন্ট রয়েছেন, ভিভিআইপি রয়েছেন, এখানে আমি বা কাঞ্চন কোন ফ্যাক্টর নয়। একবার ডাক্তারবাবুর সেই দিকটা যাচাই করে, এবং ডাক্তারবাবু কে, ডাক্তারবাবুর পেশেন্ট কারা এবং ডাক্তারবাবু সম্বন্ধিত সমস্ত তথ্য যাচাই করে তারপর বিভিন্ন মন্তব্য পেশ করা উচিত বলে আমার মনে হয়।’
শ্রীময়ী চিকিৎসাধীন ছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তের অধীনে। যিনি শহর কলকাতার সুপরিচিত আইফিএফ (IVF) স্পেশ্যালিস্ট। সি-সেকশন ডেলিভারির খরচও কখনই ৪ লক্ষ হতে পারে না, তাই অনেকের মনেই নানান প্রশ্ন। তবে শ্রীময়ী বলছেন, কে কোন ডাক্তার দেখাবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত চয়েজ। তিনি লেখেন, ‘কার কোন নার্সিংহোমে, সরকারি না বেসরকারি হসপিটালে ডেলিভারি হবে, এটা একান্ত তাদের ব্যক্তিগত মতামত, এই নিয়ে দয়া করে অনধিকার চর্চা আপনারা করবেন না,, আর আমরা কোন অপরাধমূলক কাজ করিনি, তাই আমার একটাই অনুরোধ যারা এই ধরনের কথা বলছেন, তাদেরকে বলব যে প্লিজ অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার, সমালোচনা করার বা চর্চা করার বিষয় রয়েছে কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজের কটা বাচ্চা হল বা কোথায় হল বা কত টাকা খরচা হল , কত মাসে হল, সিজার হলো নাকি নরমাল ডেলিভারি হল নাকি, ফর্সেপ হলো, এই ধরনের চর্চা করে নিজেদের শিক্ষার পরিচয়টা আর বাড়াবেন না, সর্বোপরি বলবো এগুলো ছাড়াও সমাজের অনেক বিষয় আছে চর্চা করার, আলোচনা করার,সমালোচনা করার, ওগুলোতে ফোকাস করুন, দয়া করে আমাদের জন্য নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না, আমাদের অযথা ভ্যালুয়েবল বানিয়ে দেবেন না, এই পৃথিবীর অনেকেই মা হয়েছেন, তাদের নিজেদের মতো করে, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ীএবং একান্ত ব্যক্তিগতভাবে, নিজেদের পছন্দমত ডাক্তার বা নার্সিংহোমের তালিকায়,,তাই আমি কোন বিরল মা নই’।