এবার মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ঠাকুর দেখা। মণ্ডপে মণ্ডপে পড়ে গিয়েছে লম্বা লাইন। অফিস, স্কুল-কলেজে ছুটি না পড়লে কী হবে, সন্ধে হতেই ঠাকুর দেখায় কোনও খামতি নেই। তারকারাও ব্যস্ত রয়েছেন পুজোর উদ্বোধন আর পুজো পরিক্রমায়।
চতুর্থী স্পেশাল কতগুলি ছবি দিলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে ‘চর্চিত প্রেমিক’ কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে তিনি গিয়েছিলেন এক পুজোর উব্দোধনে। চোখ টানল শ্রীময়ীর ছবিগুলিতে ব্যবহার করা ক্যাপশন। কাঞ্চনকে ট্যাগ করে আপলোড করা ছবির বর্ণনায় লিখলেন, ‘গতকাল সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক মহাশয়ের আমন্ত্রণে ওনার পূজায় উপস্থিত ছিলাম আমরা॥ শুভ চতুর্থী।’
দেখা যাচ্ছে দুজনেই পরে আছেন লাল পোশাক। শ্রীময়ীর বেছেছেন নিজের জন্য লাল সালোয়ার। আর কাঞ্চনের গায়ে লাল রঙের পঞ্জাবি। এমনিতেি তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তবে সেসব কোনওদিনই মানতে চাননি তাঁরা। তবে আজকাল একসঙ্গে যখনই ফ্রেমবন্দি হন, দেখা যায় পোশাকের রং দুজনেরই এক। এবার আমার অভিনেত্রীর ক্যাপশনে লেখা ‘আমরা’ কথাটাও প্রশ্ন তুলছে অনেকেরই মনে!
২০২১ সালে কাঞ্চন মল্লিক আর তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজের ঝামেলার খবর হঠাৎই আসে প্রকাশ্যে। সেই সময় তো একে-অপরের নামে থানায় গিয়ে এফআইআরও দায়ের করে এসেছিলেন। আর তখন বারবার ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে উঠত শ্রীময়ীর নাম। শোনা যতে শুরু করে, শ্রীময়ীর কারণেই ঘর ভেঙেছে কাঞ্চনের। আপাতত আদালতে চলছে তাঁদের ডিভোর্সের মামলা। কদিন আগে কাঞ্চনের অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁকে তাঁদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও দেখা করতে দেন না।
তবে এই সময় ‘বন্ধু’ হয়েই পাশে থেকেছেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজো হোক বা জন্মদিন, থাকে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। আজকাল তো সঙ্গে দেন তৃণমূলের মঞ্চেও।
আজকাল এই রং মিলান্তি পোশাকে সামনে আসার জন্য নেটপাড়া নাম দিয়েছে ‘শোভন-বৈশাখী লাইট’। দুজনকে সম্প্রতি স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ ধারাবাহিকেও। কয়েকটি পর্বের জন্য তাতে এন্ট্রি নিয়েছিলেন কাঞ্চন। সেই আনন্দ ভাগ করে শ্রীময়ী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘২০১৩ সালে প্রথম তোমার সাথে স্ক্রিন ভাগাভাগি করা,আবারও ১০বছর পর কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজের হাত ধরে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগ পেলাম, তোমার মতো অভিনেতার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, অনেক কিছু অর্জন করেছি, জীবনে অনেক শেখা বাকি আছে। হাজার বিতর্কের পরেও বলব তুমি শুধু একজন ভালো অভিনেতাই নয়…একজন ভালো মনের মানুষ।’