টলিপাড়ার অন্যতম হ্যাপেনিং কপল কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তাঁরা যাই করেন, তাই উঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। বিয়ে, প্রেগন্যান্সি থেকে শ্রীময়ীর মা হওয়া ২০২৪ জুড়ে টলিপাড়ার নিউজ মেকার এই জুটি। বছরের শেষলগ্নে পুরোদস্তুর পার্টি মুডে নতুন বাবা-মা।
সন্তানের প্রিমিয়ারে নজর কেড়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বহুরূপীর সাক্সেস পার্টিতেও মধ্যমণি কাঞ্চন ও তাঁর ‘কচি বউ’। এদিন ওয়েস্টার্ন নয়, শীতের রাতে ফিনফিনে সোনালি শিফন শাড়ি আর ডিপ নেকের কাঁধকাটা ব্লাউজে ধরা দিয়েছেন শ্রীময়ী। পাশে চেক শার্ট আর ব্লেজারে শীত-ঢাকলেন কাঞ্চন। অবশ্য এই পার্টিতে যাওয়ার আগে সৃজিতের ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর দেখতে পৌঁছেছিলেন দুজনে। অর্থাৎ বড় পর্দায় ওয়েব সিরিজ দেখে তারপর শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবির ৭৫ দিনের সেলিব্রেশনে।
মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েই মেয়েকে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি শ্রীময়ী। কাঞ্চন ঘরণী বললেন, ‘বাড়ি এখন কৃষভি-ময় হয়ে গেছে। এখন রাতজাগার পর্ব শুরু হয়েছে, রোজ রাত ২টো থেকে ৪.৩০টে অবধি জেগে থাকছে। আর ওর বাবা (কাঞ্চন) কোলে নিয়ে দোলাচ্ছে। এই চলছে, কাঞ্চনদা খুব এনজয় করছে।’
শ্রীময়ী আরও বলেন, ‘ওর এখন দৃষ্টি ফুটেছে। দু-দিন আগেও আমি সেজেছিলাম,চুলে টং করেছিলাম, মেয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আর ওহ চোখের পাতা ফেলে না। বাবার কোলেই প্রথম চোখ খুলেছে তো, বাবা সোনামা ডাকলেই তাকিয়ে দেখে।’ পাশ থেকে কাঞ্চন চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, ‘না, না মায়ের ডাকও খুব চেনে’।
সম্প্রতি সন্তান নিয়ে শ্রীময়ীকে টিপস দিয়েছেন ইউভান-ইয়ালিনির মা। শ্রীময়ীর কথায়, ‘আমার প্রেগন্যান্সির শুরুর থেকে শুভশ্রীদি আর রাজদা খুব সাপোর্ট করেছে। আমি তো নতুন মা। শুভশ্রীদির একটা অভিজ্ঞতা আছে। আমি এখন সব মায়েদের দেখলেই প্রশ্ন করছি, আচ্ছা এট কী করে গো, ওটা ঠিক? এই ধরো, রাত ২টোয় কি বাচ্চারা কাঁদে?’
এদিন পুরোদস্তুর পার্টি মুডে কাঞ্চন। ডাকাতিয়া বাঁশির সুরে ডান্স ফ্লোর মাতালেন তিনি। শুরুতে ইমন চক্রবর্তীর সঙ্গে স্টেপ ম্যাচ করলেন কৃষভির বাবা। তারপর একেএকে ফ্লোরে এলেন কৌশানি, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। নায়ক-পরিচালক শিবপ্রসাদের সঙ্গে ফাটাফাটি নাচ কাঞ্চনের। কেরিয়রের শুরুটা শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাত ধরেই (জনতা এক্সপ্রেস) করেছিলেন কাঞ্চন। বক্স অফিসে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ব্যবসা হাঁকিয়েছে বহুরূপী, তাই পার্টি তো বনতা হ্যায়।
সম্প্রতি সৎ-পুত্র ওশকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো ওকে গর্ভে ধারণ করিনি। কিন্তু ওশ তো আমারও সন্তানসম। আমার কাছে কৃষভি যা, ওশ-ও তাই।’ কাঞ্চন ছেলেকে প্রচণ্ড ভালোবাসে এবং মিস করে, জানান শ্রীময়ী। কাঞ্চনের তৃতীয় স্ত্রী জোর গলায় বললেন, তাঁর বাড়ির দ্বার ওশের জন্য সবসময় খোলা। শ্রীময়ীর কথায়, ‘ওশ কোনও দিন যদি কাঞ্চনের কাছে এসে দাঁড়ায়, থাকতে চায় আমাদের কাছে, ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হয়ে বাধা দেব না। ওই পাপ ভুলেও না।’