২০২৪ সালের ২ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েন কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। দুই দশকের ছোট শ্রীময়ীকে বিয়ে করায় বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল এই তারকা জুটিকে। কিন্তু একসঙ্গে এক ছাদের তলায় এক বছর কাটানোর পর নিজেদের রসায়ন নিয়ে কী জানালেন অভিনেত্রী?
প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে কী জানালেন শ্রীময়ী?
২০২৪ সালটা যেন আক্ষরিক অর্থেই সব দিক থেকে ভরিয়ে রেখেছিল। একে তো ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। তারপর ২ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েন। অতঃপর সেই বছরই ভূমিষ্ট হয় তাঁদের মেয়ে কৃষভি। একসঙ্গে ৩৬৫ দিন কাঞ্চনের সঙ্গে থাকার পর প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে শ্রীময়ী চট্টরাজ আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, 'সময় কোথা দিয়ে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না। হুশ করে যেন বছরটা কেটে গেল। মেয়ের জন্যই বুঝতে পারিনি কীভাবে বছরটা ঘুরে গেল।' তবে কেবল এক নয়, কাঞ্চনের সঙ্গে ১০০ বছর কাটাতে চান শ্রীময়ী।
কাঞ্চনকে বিয়ে করার পর শ্রীময়ীর কপালে জুটেছিল ঘর ভাঙানি তকমা। এদিন সেই বিষয়েও মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, 'সাদা বা গোলাপি যিনি ছিলেন তিনি যদি সত্যিই থাকতেন আমার দিকে ফিরেও তাকাতো না কাঞ্চন। বিবাহিত পুরুষের স্ত্রীর প্রতি প্রেম থাকে যদি সে অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয় না।' তিনি এও জানিয়ে দেন এদিন কাঞ্চনের সঙ্গে বিয়ে না করেও তিনি চাইলে অভিনেতার সন্তানের মা হতে পারতেন। কিন্তু সেটা সবাই মানতে পারত না। তাই বিয়ে করেছেন। তবে অবশ্যই সেটা দুজনের সম্মতিতে।
কিন্তু দুজনের বয়সের এত ফারাক। সেটা নিয়ে সমস্যা হয় না? এই বিষয়ে শ্রীময়ীর মত, 'আমি সবসময়ই চেয়েছি যাতে আমার বর আমার থেকে বয়সে বড় হয়। তাহলেই সে আমায় আগলে রাখবে, যেমন কাঞ্চন আমায় রাখে। সমবয়সী বা অল্প ফারাক হলে সেই সম্পর্কের পরিণতি যে কী হয় সেটা আজকাল সবাই দেখছি।'
প্রসঙ্গত প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে তাঁরা তাঁদের একরত্তি মেয়েকে অভিনেত্রীর মায়ের কাছে রেখে তীর্থ ভ্রমণে গিয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের মহাকাল মন্দির দর্শন করেন তাঁরা এদিন। শুধু মহাকাল মন্দির নয়, আরও অন্যান্য মন্দির দর্শন করার পরিকল্পনা তাঁদের। সঙ্গে নিরামিষ খাবেন বলেও জানিয়েছেন।