এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে। দুজনের পরকীয়ার চর্চা মাথাচাড়া দিয়েছিল বছর চারেক আগে। লম্বা সময় নিজেদের সম্পর্ককে কেবল বন্ধুত্বের নাম দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্স চূড়ান্ত হতেই শ্রীময়ীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন কাঞ্চন। এখন মিস্টার মল্লিকের ঘরণী হাঁটুর বয়সী শ্রীময়ী। আরও পড়ুন-‘চলো,আরেকবার বিয়ে করি’, ২৩ বছর পর ফের প্রস্তাব লোপার, বউয়ের চেয়ে বয়সে কত ছোট জয় সরকার?
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সই-সাবুদ করে আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেছেন দুজনে। যদিও সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন চার দিন পর, ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাতে। সামাজিক বিয়ের তোড়জোর তুঙ্গে। কাঞ্চনের এটা তৃতীয় বিয়ে হলেও ২৬ বছরের শ্রীময়ীর প্রথম বিয়ে। তাই কাঞ্চন চান শ্রীময়ীর সব স্বপ্ন পূরণ হোক। শ্রীময়ী জানিয়েছেন, কাঞ্চন নাকি তাঁর কাছে সবটা আড়াল করেই আইনি বিয়ের আয়োজন সেরেছিলেন। বিয়ে মেটবার পরেও বিদ্রুপ, ট্রোলিং পিছু ছাড়ছে না দুজনের। সেই নিয়ে অবশ্য আগেভাগেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
দাম্পত্য বা বিয়ে টিকিয়ে রাখার ফর্মুলা এখন থেকেই রপ্ত করছেন শ্রীময়ী। এদিন বিয়ে নিয়ে দীপিকা পাড়ুকোনের ভাবনা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন শ্রীময়ী। সম্প্রতি কফি উইথ করণের মঞ্চে এসে দীপিকা জানিয়েছিলেন, ‘বিয়ে হল একটা কাজ, সেই কাজটা প্রতিদিনের… কারণ দিনের শেষে ওর একটা আলাদা জীবন আছে, আমার একটা নিজস্ব জীবন আছে। আর দুটো ভিন্ন মানুষের এক হওয়াটাই দাম্পত্য…’।
কাঞ্চনের সঙ্গে শ্রীময়ীর যখন প্রথম আলাপ তখন ক্লাস এইটের ছাত্রী তিনি। কাঞ্চন তখন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘোর সংসারী। পিঙ্কি-কাঞ্চনের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হলে অভিনেতার পাশে দাঁড়ান শ্রীময়ী। সেই বন্ধুত্বের জেরে অনেক বদনাম কুড়িয়েছেন, তাই শ্রীময়ীকে বিয়ের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন কাঞ্চন। এই বিয়ে নাকি সহজে মেনে নেয়নি পরিবার। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী বলেন, ‘বিষয়টা নিয়ে আমার পরিবারের প্রথমে দুশ্চিন্তা ছিল। আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন বাইরের লোকজন। বলা হয়েছিল, আমি একটা সুন্দর সংসার ভাঙছি। আমি একটি পরিবার নষ্ট করছি। এ সমস্ত কিছু দেখে-শুনে আমার বাবা-মা এবং বাড়ির বয়স্করা আতঙ্কে ছিলেন’।
শ্রীময়ীর ৯৫ বছরের ঠাকুর্দার থেকে বিয়ের অনুমতি নিয়েছেন কাঞ্চন। বলেছিলেন,‘আমার জন্য শ্রীময়ীর বদনাম হচ্ছে, আমিই ওকে সুনাম এনে দেব’। কাঞ্চন কথা রাখায় খুশি শ্রীময়ী। বলেছেন, ‘ওকে আমি স্বামী হিসেবে পেয়ে গর্বিত। নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করছি। আমার পরিবারও কাঞ্চনকে মেনে নিয়েছে জামাই হিসেবে। তাঁদের সত্যি কিছু যায় আসে না, কাঞ্চনের অতীত কি ছিল। আমি ভাল থাকলেই তাঁরা খুশি। তাঁরা চান আমি এবং কাঞ্চন আনন্দে থাকি, ভাল থাকি। তবে হ্যাঁ, কাঞ্চনের একটি সন্তান রয়েছে, এ ব্যাপারে তো কারও কিছু করার নেই। সেই সন্তানের প্রতি আমার পরিবার সমব্যথী।’