মেয়ের বয়স সবে তিন দিন! এখনও একরত্তিকে নিয়ে শ্রীময়ীর ঠিকানা ভাগীরথী নেউটিয়া হাসপাতালের কক্ষ। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল এখনও খোলা হয়নি। কিন্তু সব যন্ত্রণা মেয়ের হাসি মুখ দেখে সইছেন শ্রীময়ী। মাত্র ২৬ বছর বয়সেই মা হলেন কাঞ্চন মল্লিকের তৃতীয় স্ত্রী। আরও পড়ুন-‘আমার ঘরে লক্ষ্মী এসেছে…’, মা হলেন শ্রীময়ী, HT Bangla-কে প্রথম জানালেন কাঞ্চন
২৭ বছরের বড়, দু-বার ডিভোর্সি পুরুষকে বিয়ে করায় কম কটাক্ষ শোননি শ্রীময়ী। আইনি বিয়ের সাড়ে ৮ মাস যেতে না যেতেই অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবর নিয়ে শুরু করেছে নানান কাটাছেঁড়া। গত ২রা মার্চ ধুমধাম করে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন শ্রীময়ী। আইনি বিয়েটা অবশ্যই গত ফ্রেবুয়ারিতেই সেরে ফেলেছিলেন দুজনে। বিয়ের ৯ মাস পূর্তির আগে জীবনের সেরা উপহার পেয়েছেন তারকা দম্পতি।
যদিও শ্রীময়ী-কাঞ্চনের বিয়ের তারিখ আর সন্তানের জন্মের তারিখ নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করেছে নেটপাড়া। একরত্তিকে ঘিরে কটাক্ষ-ট্রোলিং চলছে সোশ্যালে। তবে সেইসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন শ্রীময়ী। এইসময় ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সবটাই খোলা খাতার মতো। যখন যেটা হয়েছে সব জানিয়েছি। এখন শুধু ওই একরত্তিকে ভালো ভাবে বড় করতে চাই।’
ব্যক্তিগত জীবনটা আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন কাঞ্চন। বরের আর পরিবারের বড়দের কথা মেনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর গোপনে রেখেছিলেন শ্রীময়ী। তাঁর কথায়, সাত মাস পর্যন্ত শ্যুটিং করেছেন তিনি। কাউকে টেরও পেতে দেননি প্রেগন্যান্সির বিষয়ে। মা হওয়ার পর কতখানি বদলেছে শ্রীময়ীর জীবন? তাঁর কথায়, মেয়ের ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে এখন আস্তে আস্তে কথা বলেন। আর সারাক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে মেয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। বললেন, ‘মনে হচ্ছে চোখের সামনে একটা তুলোর পুতুল শুয়ে আছে।’
কৃষভিকে প্রথমবার কোলে নেওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রীময়ী বললেন, ‘আমি ওকে হাত নেড়ে হ্যালো বলেছি।' বউয়ের এই কীর্তি দেখে হেসেখুন কাঞ্চন। তিনি জানান, 'আরে তুই ওর মা রে। হ্যালো বলছিস কী!’ বউয়ের সঙ্গে সারাক্ষণ কেবিনেই রয়েছেন কাঞ্চন। আর বাবার গলা শুনলেই গোল গোল চোখ করে তাকাচ্ছে মেয়ে।
শ্রীয়মী আরও জানিয়েছেন, গত শনিবার চিকিৎসকের কাছে চেকআপের জন্য় গিয়েছিলেন তিনি, হঠাৎ করেই সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ্যে এনে গত রবিবার সোশ্যালে শ্রীময়ী লেখেন, 'এটা লম্বা একটা সফর….টানা ৯ মাসের জার্নি। বহু আবেগঘন মুহূর্ত রয়েছে। শারীরিক দিক থেকেও ওঠাপড়া লেগে থেকেছে। আমার মধ্যে এক ছোট্ট প্রাণ নড়েচড়ে উঠত। এই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। অবশেষে সেই অপেক্ষা শেষ, আমার পরী এখন আমার সামনে, ওকে নিজের চোখে দেখার পরে বুঝেছি, সেই সব যন্ত্রণা, আবেগের ওঠাপড়া এই আনন্দের কাছে কিছুই না'।