সব বাধা অতিক্রম করে পূর্ণতা পেল রোহিত সেনের ভালোবাসা। জীবন সংকটে, এমন কঠিন সময়ে রোহিতের হাত শক্ত করে ধরেছে তাঁর কলেজের দিনের ভালোবাসা, যে ভালোবাসার অনন্তকাল ধরে অপেক্ষা করছে রোহিত! রোহিতের শরীরে মারণব্যাধি বাসা বেঁধেছে একথা জানার পর থেকে সমাজের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে, সন্তানদের বিরুদ্ধে গিয়েও রোহিত সেনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীময়ী। দুজনের বিয়েটা শেষমেষ হবে কিনা সেই নিয়ে প্র্শ্ন ছিল অনেকের মনেই। কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব অবশেষে মিলল।
শনিবার প্রকাশ্যে এল স্টার জলসার এই সিরিয়ালের নতুন প্রোমো, সেখানে টুকটুকে লাল শাড়িতে সিঁদুর রাঙা মাথায় ধরা দিলেন শ্রীময়ী। ব্যাকগ্রাউন্ড বলে দিচ্ছে, এটা রোহিত-শ্রীময়ীর ফুলসজ্জার সিকুয়েন্স। ঘরের ভিতর শ্রীময়ীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রোহিত সেন। শ্রীময়ীকে দেখে সে বলে উঠল- ‘অবশেষে আমার অনন্ত অপেক্ষা আজ সার্থক হল’। রোহিতদা এখন শ্রীময়ীর কাছে রোহিত! সেও পালটা জানাল, ‘আমি তোমাকে যেতে দেব না রোহিত… শেষ পর্যন্ত যখন একটা নতুন জীবন পেলাম, তুমি এই জীবনটা কেড়ে নিও না’। এরপর ভালোবাসার আগলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরল তাঁরা। বেজে উঠল ‘বিরহ মধুর হল আজি মধুরাতে’।
এই প্রোমো দেখে শ্রীময়ী-রোহিত জুটির ভক্তরা খানিকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল, দুজনের চারহাত অন্তত এক হচ্ছে। অন্যদিকে শনিবারের এপিসোডে দর্শক দেখবে রোহিতের বাড়িতে শ্রীময়ীর আগমনকে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদযাপন করছে রোহিত। এখানেই শেষ নয়, সাহসী ভঙ্গিতে রোহিতের কনফেশন- ‘তোমাকে দেখবার পর থেকেই আমার মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে… সেই কলেজ জীবন থেকে’। শ্রীময়ী আক্ষেপ, সত্যি কোনওদিন জানতেই পারিনি, তুমি জানতেই দাওনি'। রোহিতের এই ভালোবাসায় আপ্লুত শ্রীময়ী, পরিবারের জন্য মন খারাপ- ডিঙ্কাও ফোন না করায় শঙ্কা শ্রীময়ীর মনে। তবে কি ডিঙ্কাও রোহিতের সঙ্গে শ্রীময়ীর সম্পর্কটা মেনে নিতে পারছে না?
কিন্তু না, এই সব কথা আজ শ্রীময়ী ভাবতে চায় না, রোহিতও তাঁকে আশ্বস্ত করে। কেমন হবে শ্রীময়ী-রোহিতের সাজানো সংসার? শ্রীময়ী কি পারবে বেহুলার মতো মৃত্যুর মুখ থেকে তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে? আগামিতে কাহিনির এই টুইস্ট দেখবার অপেক্ষাতে দর্শক।