শ্রীময়ী: ‘তোমাকে খুব স্বার্থপর লাগছে’! মায়ের বিয়েতে আপত্তি দিঠীর, আয়না দেখাল ছোটু

‘মা, এই বয়সে লোক হাসাচ্ছে তুমি এর মধ্যে কোনও অন্যায় দেখছো না’! শ্রীময়ী-রোহিতের বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি দিঠী-ছোটুর।

দিঠিকে স্বার্থপর বলে কটাক্ষ ছোটুর (ছবি সৌজন্যে- হটস্টার)

তিন সন্তানের মা শ্রীময়ী, রোহিত সেনের সঙ্গে নতুন করে সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখছে তা কিছুতেই হজম করতে পারছে না দিঠী। রোহিত অ্যাঙ্কলের সঙ্গে মায়ের বিয়ে নিয়ে এতটাই বীতশ্রদ্ধ সে, যে বাড়ি থেকে ব্যাগ-পত্তর গুছিয়ে হবু শ্বশুরবাড়িতে এসে উঠেছে। মায়ের সিদ্ধান্ত জানবার পর থেকেই বেঁকে বসেছে দিঠী, কিন্তু শ্রীময়ীর সাফ কথা এই বিয়েতে কারুর আপত্তি থাকলেও কোনও পরোয়া নেই তাঁর। শ্রীময়ীর ছোট ছেলে ডিঙ্কা কিন্তু দারুণ খুশি মায়ের এই সিদ্ধান্তে, সমর্থন জানিয়েছে দুই বৌমাও। 

সোমবারের এপিসোডে শ্রীময়ী-রোহিতের বিয়ে নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড দিঠী-ছোটুর। মায়ের বিয়ে নিয়ে দিঠীর এই আপত্তির কারণ বুঝে উঠতে পারছে না ছোটু। বরং পালটা জানায়, ‘জীবনে এই প্রথম তোমায় খুব স্বার্থপর লাগছে, নিজের স্বার্থ ছাড়া কিচ্ছু ভাবে না… এইরকম একটা মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে আমি ভাবতে পারছি না’।

‘মা এই বয়সে লোক হাসাচ্ছে… এই বয়সে বিয়ের কী থাকে, কী পাওয়ার জন্য উনি বিয়ে করছেন, তাও এমন একটা লোকটা বেশিদিন বাঁচবে না!’, পালটা জবাব দেয় দিঠী। এখানেই শেষ নয়, 'পাপা'র একটা ভুল ক্ষমা করেই দেওয়া যায়- এমন সাফাইও দেয় সে। ছোটু কিন্তু জানায়, শ্রীময়ী একান্ত মানবিক কারণেই রোহিত সেনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সম্পূর্ণ সঠিক। হবু শাশুড়ির সাপোর্টে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে না-রাজ ছোটু।‘আমি তোমার মায়ের কোনও অন্যায় খুঁজে পাচ্ছি না', সাফ জবাব তার।

ছোটু সর্বতোভাবে দিঠীকে বোঝানোর চেষ্টার পরেও মন বদলাতে পারে না প্রেমিকার, অবশেষে কিছুটা মনোক্ষুণ্ন হয়েই সে জানায়- ‘এবার তো আমাকেও ভেবে দেখতে হবে এমন একটা স্বার্থপর মেয়ের সঙ্গে আমি সারাটাজীবন কাটাতে পারব কিনা!’

শ্রীময়ী-রোহিত সেনের চারহাত এক হওয়ার দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন সিরিয়ালের ভক্তরা। অবশেষে যখন বিয়ের প্রস্তাব নিজেই রেখেছে শ্রীময়ী, তখন দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন রোহিত সেন। জীবন-মরণ সংকট তাঁর, ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ জানে না! তাই দর্শকরা ইতিমধ্যেই আশঙক্ষায় ভুগছেন- ‘এই বিয়েটা আদতে হবে তো?’ 

শ্রীময়ীর দ্বিতীয় বিয়ে ঘিরে আগমীতে গল্পে আরও টুইস্ট অপেক্ষা করছে তা বলাই যায়।