আরজি কর কাণ্ডের পর মাসখানেক আগে একটি পোস্ট করার পর একপ্রকার মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিকে কলম ধরতে দেখা যায়নি আর এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে। মাস পেরোনোর কয়েকদিন পর এদিন তিনি একটি পোস্ট করতেই এত কটাক্ষের শিকার হন যে দ্রুত সেই পোস্টও উড়িয়ে দেন তিনি। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: ৭৮ এই থামল কণ্ঠ, না ফেরার দেশে দূরদর্শন - আকাশবাণীর সংবাদ পাঠিকা ছন্দা সেন
কী ঘটেছে?
এদিন সাতসকালে আরজি কর কাণ্ডের দোষীরা এখনও শাস্তি না পাওয়ায় একটি পোস্ট করেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, 'অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষার সীমা অতিক্রান্ত। এবার যে হবে তা আমার হাতে নেই। অথবা শুধুমাত্র আমার হাতেই আছে।' তাঁর এই পোস্টের 'মাথামুন্ডু' বুঝতে পারেননি অনেকেই। তাঁর উপর এতদিন পর এই বিষয়ে পোস্ট করায় তাঁকে চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। কবি পোস্ট ডিলিট করলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় লালমোহন বাবুর ভাষা অনুযায়ী হট কচুরিজের মতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে! সকলেই ট্রোল করছেন তাঁকে।
কে কী লিখেছেন?
শ্রীজাত পোস্টটি ডিলিট করতেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ঝিলম গুপ্ত তাঁকে কটাক্ষ করে লেখেন, 'R.I.P.... পোস্টটি আর আমাদের মধ্যে নেই।' কেউ আবার লেখেন, 'সকালের খামোখা খেয়াল - সবাই ভাবছে শিরদাঁড়ার ডেল্টা - খ্যাত শ্রীজাত যে পোস্টটা দিয়েছে সেটা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। হতে পারে। কিন্তু না হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। হয়তো বউকে নিয়ে লিখবে। হয়তো কাউকে মিটু দেবে। ঝেড়ে কাশার আগেই তাদের প্রতিবাদী ভেবে নেওয়া ভুল। ইন ফ্যাক্ট, কাশার পরেও।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'শ্রীজাত আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছে বলে গিন্নির কাছে মাঝেমাঝে কেত মারতাম সেটাও আর রইল না। নিরীহ দু'চারটে আদুরে গালি, আমি যেরকম দিয়ে থাকি আর কি, আজ ওর পোস্টের কমেন্টে লিখেছিলাম। ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে তো বের তো করেইছে, এমনকি ব্লকিয়েও দিয়েছে। কেত মারার ১০৮.৬৯ হয়ে গেল। আমার কবিতা লেখার অনুপ্রেরণাটাই আর রইল না।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'ওঁর নামের আগে লেখা ডঃ -এর মতো শ্রীজাতও নিজের এই পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: একটা সময় ৩ শিফটে ৩ টে ছবির জন্য কাজ করতেন অমিতাভ! KBC-তে বললেন, 'টানা ২৩ ঘণ্টা কাজ করতাম...'