আরজি কর কাণ্ডে গোটা বাংলার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। রাস্তায় নেমেছেন এমন অনেক মানুষ, যারা হয়তো বাড়ির বাইরে পা রাখার আগে সাধারণত একশোবার ভাবেন। বয়স, লিঙ্গ নির্বিশেষে চলছে প্রতিবাদ। এমনকী, টলিউড তারকারাও কিন্তু সামিল এই প্রতিবাদে। শনিবার মধ্যরাতে নাট্য কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় ফের দেখা গেল সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে।
কদিন আগেই পদাতিক পরিচালক জানিয়েছিলেন মেয়েদের রাত দখলের লড়াইতে সামিল হয়েছিলেন তাঁর বৃদ্ধা মা। যিনি পেশায় ডাক্তার। লেখেন, ‘আমার ৭৭ বছর বয়সী মা যিনি কিনা পেশায় একজন চিকিৎসকও বটে তিনি আমার সঙ্গে জমায়েতে যেতে না করে দেন। যাদবপুর ৮ বি-তে একাই যান প্রতিবাদ করতে।’
এদিনও মায়ের প্রসঙ্গ টানতেই দেখা গেল সৃজিতকে। জানালেন এক সময় এনআরএস হাসপাতালে কাজ করতেম তাঁর মা। তিনি বললেন, ‘আমার মা NRS-এর চিকিৎসক। আরজি করে মায়ের প্রচুর বন্ধু রয়েছে। আমার প্রচুর কাকু-কাকিমা আরজি কর থেকে পাস আউট। আমার এই পরিবেশেই বেড়ে ওঠা। তাই আমার কাছে ব্যাপারটা ব্যক্তিগত।’
এরপর নিজের বক্তব্যে তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মা দিনের পর দিন রাতের ডিউটি করেছে, সেমিনার রুমে ঘুমিয়েছে। সদ্যই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। বর্তমানে তো পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে কোনও নিরাপত্তাই নেই! যদি একটা সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিল পাশ করা যায়, ভালো হয়। আগেও শুনেছি এমন অনেক নিয়ম হয়েছে। সেটা আবার শিথিল হয়ে গিয়েছে। এবার তা যাতে না হয়, নিরাপত্তা যাতে জোরদার হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে।’
‘এখন তো দুর্নীতির কথা উঠে আসছে। এটা বন্ধ করতে হবে। একটা জিনিসের মধ্যে আর আরজিকরের প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ নেই।’, নিজের বক্তব্যে জুড়েছিলেন সৃজিত।
প্রথমদিকে, অনেক অনুরাগীরই মনে ক্ষোভ জন্মেছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে। তাঁদের ধারণা হয়েছিল, হয়তো গোটা ঘটনায় চুপ তিনি! তবে সেটা যে একেবারেই ঠিক নয়, তা প্রমাণ করলেন। সিনেমাহলে চলছে পদাতিক। এমনিতেই বাংলাদেশ অসন্তোষের জন্য আসতে পারেননি চঞ্চল চৌধুরী। তবে সিনেমার প্রচারের থেকে এখন তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রয়েছে ডাক্তার তরুণীর জন্য বিচার প্রার্থণা।
রবিবার আরজি কর নির্যাতিতার পাশে পুরো চলচ্চিত্র পরিবার থাকছে। বিকেল ৪টে থেকে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো থেকে শুরু হয়ে যাবে আরজি কর অবধি। তাতেও থাকবেন রাজকাহিনি পরিচালক।