আগেই ঘোষণা করেছেন যে আর ফেলুদা বানাবেন না। মাত্র চারটি প্রজেক্ট করেই সফর থামাচ্ছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। আর যাঁদের কাছে শীতের ছুটি মানেই ফেলুদা তাঁদের জন্য বিশেষ একটি ঘোষণাও করলেন এদিন পরিচালক। কী জানালেন ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর নিয়ে?
আরও পড়ুন: অদ্ভুত ভাবে বললেন ‘দিনহাটা’, মোনালি ঠাকুরের ইংরেজি শুনে নেটপাড়া বলছে 'এ কোথাকার মেম?'
আরও পড়ুন: কমছে বাংলা ছবির সংখ্যা, অনির্বাণ বললেন, 'হয়তো এমন ছবি করতে পারছি না যেটা হলে দর্শকদের হলে টানবে'
ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর নিয়ে কী জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়?
এদিন ভূস্বর্গ ভয়ঙ্করের একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লেখেন, 'যেমনটা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে, ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর আমার বানানো শেষ ফেলুদা হবে। এটা একটা দুর্দান্ত ৫ বছরের সফর ছিল যেটা ২০১৯ সালে ছিন্নমস্তার অভিশাপ দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর কাঠমান্ডু, দার্জিলিং ঘুরে কাশ্মীরে এসে থামল। প্রথম আড্ডাটাইমস পরে হইচই দারুণ ভাবে সাহায্য করলেও, চেষ্টা করলেও ওয়েব সিরিজের বাজেটে কাজকে কম্প্রোমাইজ না করে ফেলুদার গল্পগুলোকে আর তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।'
তিনি এদিন তাঁর গোটা টিম অর্থাৎ টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং কল্পন মিত্রকে ধন্যবাদ জানান। তাঁদের বন্ডিং, সম্পর্কের কথাও বলেন। পরিশেষে জানান, 'মেফ্লাই হল একটি জলজ প্রাণী যে পশুদের মধ্যে সব থেকে কম সময় বাঁচে। মাত্র একদিন। আর আমার ছোটবেলার হিরোকে নিয়ে সিনেমা বানানোর স্বপ্নটাও তেমনি। ১৯ ডিসেম্বর প্রিয় সিনেমায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং হবে ভূস্বর্গ ভয়ঙ্করের। একবারের জন্যই এটা সিনেমা হিসেবে দেখানো হবে।'
সৃজিত এদিন তাঁর এই পোস্টেই ফেলুদা প্রেমীদের জন্য একটি সুখবর দেন। অনেকের কাছেই আজও শীতের ছুটি মানেই ফেলুদা। তাই তাঁদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এনে তিনি জানান, ' অতিথি এবং মিডিয়ার পর আর ১০০টা মতো সিট খালি থাকবে। তাই শীতের কলকাতায় কারও কাছে যদি পার্ক স্ট্রিট, কমলা লেবু এবং ফেলুদা এক হয় তাহলে আমরা তাঁদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ বেসিসে সুযোগ দেওয়া হবে। ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর আমার সেই মেফ্লাই বলে আমি দারুণ খুশি।'
প্রসঙ্গত আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে হইচই প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর। এই সিরিজে আবারও ফেলুদা, জটায়ু এবং তোপসের ভূমিকায় যথাক্রমে দেখা যাবে টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং কল্পন মিত্রকে। পরিচালনায় সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পরিচালক কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছেন যে এটাই তাঁর বানানো শেষ ফেলুদা হতে চলেছে।